ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে স্বজনদের বাধায় স্ত্রীর মরদেহ দাফন করতে না পেরে পালিয়ে যায় স্বামী ও শ্বশরবাড়ির লোকজন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। রোববার (২ জুন) ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের মারওয়াখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে শনিবার (১ জুন) গভীর রাতে হঠাৎ স্ত্রীর মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফেরেন নিহতের স্বামী আলামিন। ঈশ্বরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জুয়েল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, তিন মাস আগে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী জামেলা খাতুনকে নিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে ঢাকায় যান আলামিন। সেখানে স্ত্রী জামেলা খাতুন বাসায় কাজ করতেন। আলামিন করতেন মাছের ব্যবসা। আলামিন উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের মারওয়াখালী গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। আর নিহত জামেলা পার্শ্ববর্তী আঠারবাড়ি ইউনিয়নের মৃগালী গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে। প্রায় সাত বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে তাদের।
নিহত গৃহবধূর মামা ফারুক জানান, আলামিনের এক বোন মোবাইলে ফোনে কল করে বলেছিল জামেলা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু জামেলা কি সত্যিই আত্মহত্যা করেছে নাকি তাকে মেরে ফেলা হয়েছে এটা নিয়ে আমাদের সন্দেহ আছে। মরদেহ দাফনে বাধা দেয়ার পর আলামিন ও তার স্বজনরাও পালিয়ে যায়।
নিহত জামেলা খাতুনের ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম জানান, তার বোন সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। বোনজামাই আলামিনের জুয়া খেলার অভ্যাস ছিল। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। আমাদের সন্দেহ এসব কারণে আমার বোনকে মেরে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিচ্ছে।
এ বিষয়ে এসআই জুয়েল রানা জানান, সুরতহাল প্রস্তুতের সময় মরদেহ গলায় একটি কালো দাগ পাওয়া গেছে। গৃহবধূর স্বামী আলামিনকে আটক করা হলে বিস্তারিত জানা যাবে। তিনি আরও জানান, ঘটনার স্থান ঢাকায় হওয়ায় মরদেহ ময়মাতদন্ত করা নিয়ে বিপাকে আছি। এছাড়া ঘটনাটি ঢাকায় ঘটেছে। যে কারণে মামলা নেয়া নিয়েও জটিলতা আছে।