চট্টগ্রাম-কক্সবাজার বঙ্গোপসাগরে গভীর সমুদ্রে যাওয়া জেলেদের কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক এমন ২০টি জলদস্যু গ্রুপের ৫০ জন র্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার স্বপ্ন দেখছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) প্রথমবারের মতো এক নারীসহ এসব জলদস্যু চট্টগ্রামে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করেন। এসময় তাদের কাছ থেকে ৯০ টি দেশি-বিদেশি অস্ত্রসহ বিপুল গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘কাউকে ছাড় দেব না। যে কোনো মূল্যে অপরাধীদের দমন করা হবে। বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন সমস্ত উপকূলীয় অঞ্চলকে আমরা জলদস্যু-ডাকাতমুক্ত করব। আমরা কাউকে ক্ষমা করব না। যারা এ পেশা ত্যাগ করবেন না, তারা কী দুঃসংবাদ লিখে নিয়ে যাবেন সেটা মহান আল্লাহ জানেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম তো আর সেই চট্টগ্রাম নেই। অনেক উন্নয়ন হচ্ছে। টানেল, সেতু সব হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের সিকিউরিটির জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। ওসব এলাকায় জলদস্যুরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। সুন্দরবনের জলদস্যুদের ভালো অবস্থা দেখে আজ তারা উদ্বুদ্ধ। জনগণের কাছে র্যাব একটি আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক। সুন্দরবনে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন রক্ষায় ২০১২ সালে র্যাবকে টাস্কফোর্স হিসেবে দায়িত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। র্যাবের দুঃসাহসিক অভিযানে সুন্দরবন জলদস্যু মুক্ত হয়।’
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো.মাহবুব আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফ, পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, র্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো.তোফায়েল ইসলাম, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা।