দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। এখন চলছে গণনা। বুধবার (২৯ মে) বিকেল ৪টার দিকে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। এরপর থেকে নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা ভোট গণনার কাজ করছেন।
এর আগে সকাল ৮টা থেকে দেশের ৮৭ উপজেলায় তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এর মধ্যে ১৬টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এবং বাকিগুলোতে ব্যালটে ভোট হয়। তবে তফসিল ঘোষণা হয় ১০৯ উপজেলায়। ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে ২২ উপজেলার ভোট স্থগিত রয়েছে।
সকাল থেকে কেন্দ্রে আসতে থাকেন ভোটাররা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতিও বাড়ে। পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নিতে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন তারা।
নির্বাচন কমিশন জানায়, তৃতীয় ধাপে মোট ১ হাজার ১৫২ প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে রয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩৯৭, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৫৬ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৯৯ জন।
স্থগিত হওয়া উপজেলাগুলো হলো- বাগেরহাটের শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ ও মোংলা, খুলনার কয়রা, পাইকগাছা ও ডুমুরিয়া, বরিশালের গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া, পটুয়াখালী সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, ভোলার তজুমদ্দীন ও লালমোহন, ঝালকাঠির রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া, বরগুনার বামনা ও পাথরঘাটা, রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি, নেত্রকোনার খালিয়াজুরী এবং চাঁদপুরের কচুয়া ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা।
দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে নির্বাচন উপযোগী ৪৮৫ উপজেলায় চার ধাপে ভোট হচ্ছে এবার। প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোট হয়েছে গত ৮ মে। এসব উপজেলায় গড়ে প্রায় ৩৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২৮ জন নির্বাচিত হন।
দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬টি উপজেলা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন ২২ জন। ২১ মে এই ধাপের নির্বাচনে ভোট পড়ে ৩৮ শতাংশ। আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।