ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আশুগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেই নির্বাচনে ৩০ দিনের শিশুকে কোলে নিয়ে ভোট দিতে কেন্দ্রে এসেছেন মা রত্না। এতো ছোট্ট শিশুকে নিয়ে ভোটকেন্দ্রে এসে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে অনেকটাই স্বস্তি প্রকাশ করেন ওই মা।
বুধবার (২৯ মে) সাড়ে ৮টার দিকে আশুগঞ্জ উপজেলার তারুয়া ইউনিয়নের শালুকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে সকালে শিশুকে কোলে নিয়ে ভোট দিতে আসেন ওই মা। এ সময় ভোট কেন্দ্রে দায়িত্বরত আনসার, পুলিশ সদস্যরাও তাকে সহজে ভোট প্রদানে সহযোগিতা করেন। এ সময় ভোটকেন্দ্রে ভিন্ন আমেজের সৃষ্টি হয়।
শিশুটির বাবা ফারুক ও মা রত্না উপজেলার তারুয়া গ্রামের বাসিন্দা। জানা গেছে, উপজেলার তারুয়া ইউনিয়নের শালুকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে একমাস বয়সী নবজাতক ফাহাদকে নিয়ে ভোট দিতে যান মা রত্না বেগম। এ সময় তার সঙ্গে থাকা ৫ বছর বয়সী প্রথম সন্তান ফাহিমও ছিল।
মা রত্না জানান, ভোটের গুরুত্ব ও দায়িত্বকে বিবেচনা করেই তিনি ভোট দিতে এসেছেন। পছন্দের প্রার্থী বিজয়ী হলে বেশি খুশি হবেন তিনি।
ভোটকেন্দ্রে রত্নার সঙ্গে থাকা তার শাশুড়ি রেহেনা বেগম জানান, নাতিকে সঙ্গে নিয়ে ভোটকেন্দ্রে আসতে পেরে অনেকটাই খুশি। এ সময় তার চোখে মুখে হাঁসির ঝিলিক ছিল।
তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রে এক মাস বয়সী নাতিকে নিয়ে এসেছি। কালের সাক্ষী হয়ে থাকবে আমার নাতি। কেন্দ্রের সুন্দর পরিবেশ থাকায় বেশ ভালোভাবেই ভোট দিতে পেরেছি।
রত্না স্বামী ফারুক মিয়া জানান, একটি ভোটের অনেক গুরুত্ব আছে। কেন্দ্রের পরিবেশ ভালো। সেজন্যই সন্তানকে নিয়ে সপরিবারে ভোটকেন্দ্রে আসি। দায়িত্ব ও সচেতনতা থেকেই পরিবারকে নিয়ে ভোটকেন্দ্রে আসি। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরে বেশ খুশি ফারুক।
ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক শেখ কামাল উদ্দিন জানান, একটি ভোটের যে গুরুত্ব। তা ওই মা তার শিশুকে নিয়ে ভোট কেন্দ্রে এসে প্রমাণ করলেন। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে সুস্থভাবে যেন তিনি ভোট দিতে পারে সে সহযোগিতা করেছি।
শালুকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৩১৮৭ জন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ এবং বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ২১টি ইউনিয়নের ১৫০টি ভোট কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। কোনো ধরনের বিরতি ছাড়াই বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যালটের মাধ্যমে এই ভোটগ্রহণ চলবে। কেন্দ্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে আনসার পুলিশের পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ট্র্যাকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করছে।