বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রিমালের ক্ষতি মোকাবেলায় প্রস্তুত করা হচ্ছে কয়রা উপজেলাকে। পরিষদের হলরুমে এ বিষয়ে জরুরি সভা করেছে উপজেলা প্রশাসন। প্রশাসনের নির্দেশে সাধারণ মানুষকে সচেতন ও নিরাপদে থাকার জন্য সুন্দরবন পার্শ্ববর্তী ও বিভিন্ন এলাকায় সিপিপি, পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও এলাকার মসজিদে মাইকিং করা হচ্ছে। তাছাড়া খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
পরিষদ সূত্রে জানা যায়, বৈরী আবহাওয়ার কারণে রবিবার (২৬ মে) সকাল থেকে গোটা কয়রা উপকূলীয় এলাকায় থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। বাতাসের তীব্রতা আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। জোয়ারের পানি ঠেকাতে এলাকাবাসী বেঁড়িবাধের ওপর দিয়ে মাটি দিচ্ছে।
স্থানীয় সাংসদ মো. রশীদুজ্জামান প্রশাসন ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবেলায় বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম তারিক উজ-জামান বলেন, মোংলা সমুদ্র বন্দর ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপজেলায় মোট ১১৬টি সাইক্লোন শেল্টারসহ বিদ্যালয়গুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সার্বিক বিষয় মনিটরিং করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনতে এবং সাধারণ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য মাইকিং চলমান আছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে আলোচনা করে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ মেরামতের চেষ্ঠা চলছে।