ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে উপকূলীয় এলাকা থেকে ৮ লাখের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান। তিনি জানান, দুর্যোগ মোকাবিলা ও দুর্গত মানুষের পাশে থাকার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়সহ সব মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
এ ছাড়া আজ সন্ধ্যা থেকে আগামীকাল সোমবার সকাল পর্যন্ত চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল বন্ধ রাখা হবে।
রোববার দুপুরে সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলে আপাতত স্কুল খোলা থাকবে। তবে ক্লাস বন্ধ থাকবে।
তিনি বলেন, গতকাল আমরা বলেছিলাম, আজ ভোর থেকে এটা (ঘূর্ণিঝড় রিমাল) আঘাত হানতে পারে। কিন্তু বাতাসের গতি কম থাকায় আজ ভোরে এটি আঘাত হানেনি। গতকাল বাতাসের গতিবেগ ছিল ১৬ থেকে ১৭ কিলোমিটার। ভোরে বাতাসের গতি কমে ১০-এর নিচে চলে আসে। পরবর্তীতে ৬ কিলোমিটারে নেমে আসে।
মহিববুর রহমান বলন, আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, এটা মহাবিপদ সংকেতে পরিণত হয়েছে এবং আজকে সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ের প্রথম ভাগ বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম শুরু হবে। মধ্যরাতে মূল যে ঝড় সেটা বাংলাদেশ অতিক্রম করবে।
তিনি বলেন, ঝড়ের কারণে উপকূলীয় এলাকায় ১০ থেকে ১২ ফুট পর্যন্ত প্লাবিত হতে পারে। জোয়ার থাকলে এটা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রিমালের প্রভাবে সাতক্ষীরা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত পুরো এলাকাটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এজন্য আমরা সবাইকে নিয়ে আজকে সভা করেছি। সেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মেডিকেল টিমগুলো প্রস্তুত রয়েছে। সেনাবাহিনী যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। ফায়ার সার্ভিসও প্রস্তুত রয়েছে। পূর্বের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এই ঘূর্ণিঝড়কে আরও শক্তভাবে মোকাবিলা করার জন্য আমরা সকল প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আশা করি, নির্দেশনাগুলো যেভাবে দিচ্ছি সবাই যদি সে অনুসারে পালন করে, এই দুর্যোগকে পূর্বের মতো সফলভাবে মোকাবিলা করতে পারব।