বাউফল করেসপনডেন্ট:
পটুয়াখালীর বাউফলে এক বস্তা দেশীয় অস্ত্রসহ ছাত্রলীগ নেতা ও তার ছোট ভাইসহ কিশোর গ্যাংয়ের ১০ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (২২এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার কনকদিয়া বাজারের একটি বাসা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম সিজান কাজী (২৪) ও তার ছোট ভাই সিয়াম কাজী (১৯)। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি প্লাস্টিকের বস্তায় বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়। আটককৃত বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের একাংশের সাধারণ সম্পাদক সিজান কাজী একই ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মিজান কাজীর ছেলে।
ঘটনার পর এ বিষয়ে তথ্য নিতে গণমাধ্যমকর্মীরা থানায় গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। থানার ডিউটি অফিসার এএসআই কাউসার জানান, সিনিয়র অফিসার ছাড়া তাদের কারোরই গণমাধ্যমে কথা বলার অনুমতি নেই। ওসির অনুমতি ছাড়া অস্ত্র বা আসামিদের ছবিও দেয়া যাবে না বলেও জানান তিনি।
তথ্যের জন্য বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েনের নাম্বরে একাধিকবার কল করলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, গত মঙ্গলবার (২১ মে) বাউফল উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর কনকদিয়া বাজারে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল মোতালেব হাওলাদারের সমর্থক ডালিমের সাথে বিজয়ী প্রার্থী মোসারেফ হোসেন খানের সমর্থক সিজানের বাগবিতণ্ডা হয়। এর জেরে রাতে ডালিমসহ তিন জনকে মারধর করে সিজান ও কিশোর গ্যাং এর কয়েকজন সদস্য। পরে রাত ১২টার দিকে সিজানের কনকদিয়া বাজারের বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানের সময় ইউএনও উপস্থিত ছিলেন। তখন তাদের আটক করা হয়।
এ বিষয়ে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থক ডালিম জানান, নির্বাচনের আগের দিন রাতে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থক স্কুলশিক্ষক শহিদুল ইসলামকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থক ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার। এ ঘটনায় নির্বাচনের দিন গ্রেফতার হন তিনি। এরপর ক্ষিপ্ত হয় ছাত্রলীগ নেতা সিজান। সে অনেক সমর্থকদের মারধরসহ অস্ত্র দেখিয়ে ঘর-বাড়ি ছাড়ার হুমকিও দিয়েছে সে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সিজানের পিতা মিজান কাজী বলেন, নির্বাচনে জেতার আনন্দে ওরা পিকনিক করছিলো। হঠাৎ কোনো কারণ ছাড়াই পুলিশ ওদের আটক করে। বলেন, রাজনীতি করলে প্রতিপক্ষ থাকবেই। নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য বাসায় লাঠিসোঁটা রাখতেই হয়। তিনি বাসায় থাকলে আটক করতে পারতো না বলেও জানান তিনি।