যশোরের কেশবপুর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজির মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। এতে বলা হয়, যারা উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে তারা জামায়াত-বিএনপি পরিবারের লোক। তারা এই মামলার করে আওয়ামী লীগের ঐক্যকে নষ্ট করতে চায়।শনিবার (১৮ মে) দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে করা সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান বলেন, ‘উপজেলার বলধালী বিলে তিনি ৪০০ বিঘা আয়তনের একটি মাছের ঘের জমির মালিকদের কাছ থেকে ইজারা নিয়ে গত ৬ বছর ধরে পরিচালনা করে আসছেন। চলতি বছর ঘেরের ডিডের মেয়াদ শেষ হওয়ায় জমির মালিকরা আগামী ৫ বছরের জন্য জমির ইজারা ৩৬ হাজার টাকা বিঘা প্রতি ধার্য করে তার নামে পুনরায় ডিড করে দেয়। যাতে ৩২০ বিঘা জমির মালিকের স্বাক্ষর রয়েছে এবং পহেলা বৈশাখ থেকে কার্যকর হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তার প্রতিপক্ষ উপজেলার মধ্যকুল গ্রামের ঘের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম ওই মাছের ঘেরটি অবৈধভাবে দখলে নিতে এলাকার গুটি কয়েক জমির মালিকের স্বাক্ষর নিয়ে ঘেরে মাছ ছাড়তে যায়। পরবর্তীতে জমির মালিকেরা বাধা দিলে মাছ ছাড়তে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসে। এ ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলম আদালতে আমাকেসহ কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল আলম ও ঘের মালিক সেলিমুজ্জামান আসাদের নামে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন এবং ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করেছে।’
নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমার ঘেরের জটিলতা নিয়ে নির্বাচন চলাকালে সময়ের অভাবে থানায় কোনো অভিযোগ করতে পারেননি। কিন্তু জাহাঙ্গীর আলম আমার ও ঘের মালিক সেলিমুজ্জামান আসাদের উপস্থিতিতে কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল আলম ক্রসফায়ারের ভয় দেখানো বিষয়ে আদালতে যে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনেছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমীন, সাংঠনিক সম্পাদক গৌতম রায়, কার্যনির্বাহী সদস্য আব্দুস সামাদ, শাহাদাৎ হোসেন, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক বি এম শহিদুজ্জামান শহীদ, পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, হাসানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদুজ্জামানসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
