মিয়ানমারের অভ্যন্তরে থেমে নেই গোলাগুলি ও গোলার বিস্ফোরণ। দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি ও সেনা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির লড়াইয়ের তীব্রতা বেড়েছে। যার কারণে সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছে মিয়ানমারের সেনা সদস্য ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যরা।
গতকাল মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে পালিয়ে এসে একদিনেই নতুন করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছেন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির ৬৮ জন সদস্য। এ নিয়ে গত ৩ দিনে ঢুকে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে সেনাবাহিনীর ৫ সদস্যসহ বিজিপির ৮৪ জন সদস্য।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, এর আগে মঙ্গলবার সকালে (১৬ এপ্রিল) নাইক্ষ্যংছড়ির রেজুপাড়া সীমান্ত দিয়ে ২ জন এবং জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১০ জন ঢোকেন। এরপর দুপুরে বাইশফাঁড়ি সীমান্ত দিয়ে ঢোকে আরও ১ জন। বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে ঢোকেন আরও ৫ জন। আর সবশেষ রাত ১১ টার দিকে সীমান্ত পিলার ৪৪ এবং ৪৫ দিয়ে ঢুকে পড়ে আরও ৫০ জন। এ নিয়ে একদিনেই আশ্রয় নেয় ৬৮ জন। এ ৬৮ জনের মধ্যে বিজিপি ও সেনা সদস্য রয়েছে। তবে কোনো বাহিনীর কত জন সদস্য তা এখনও বলা যাচ্ছে না। এদের কাছ থেকে অস্ত্র জমা নিয়ে বিজিবি তাদের হেফাজতে নিয়েছে। এরা এখন নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবি হেফাজতে রয়েছে।
জানা গেছে, দেশটির অভ্যন্তরে বিজিপি বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘাতে টিকতে না পেরে তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদেরকে নিরস্ত্রীকরণ করে নিজেদের তত্ত্বাবধানে রেখেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এর আগে গত ১২ মার্চ বিজিপির ১৭৭ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাদের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে নেয়া হয়েছিল।