সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। এই ঈদ উদযাপনে শরিক হয়েছেন ইসলাম ধর্মের হানাফি মাজহাবের অনুসারীরা। তারা বলছেন, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে চাঁদের অবস্থান জেনে এবং সৌদি আরবসহ বেশ কয়েকটি দেশে চাঁদ দেখার খবর পেয়ে আজ বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন তারা।
এর মধ্যে আছে বরিশাল, নোয়াখালী, চাঁদপুর, জামালপুর, ফেনী, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের বিভিন্ন এলাকা।
সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ভোলার পাঁচ উপজেলার ১০টি গ্রামের প্রায় ৫ হাজার মানুষ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন। সুরেশ্বর দরবার পীরের অনুসারীরা প্রায় শতাধিক বছর ধরে এ ঈদ উদযাপন করে আসছেন।
আজ বুধবার সকাল ৯টায় জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মুলাইপত্তন গ্রামের মজনু মিয়ার বাড়িতে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ২ শতাধিক মানুষ জামাতে শরীক হন।
মৌলভীবাজারের বিভিন্ন এলাকার সহস্রাধিক পরিবার সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন। ঈদের জামাত শেষে একে অন্যের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও কোলাকুলি করেছেন মুসল্লিরা।
সার্কিট হাউস এলাকার আহমেদ শাবিস্থ নামক বাসায় এ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত নারী ও পুরুষরা অংশ নেন। নামাজে ইমামতি করেন আব্দুল মাওফিক চৌধুরী (পীর সাহেব, উজান্ডি)। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির জন্য মোনাজাত করা হয়।
উল্লেখ্য,আব্দুল মাওফিক চৌধুরীর (পীর সাহেব উজান্ডি) অনুসারীরা ২০০৭ সাল থেকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করে আসছেন। এ ছাড়া জেলার কুলাউড়া, বড়লেখা ও শ্রীমঙ্গলেও পৃথক পৃথক স্থানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বংকিরা, হরিণাকুন্ডু উপজেলার কুলবাড়ীয়া, নারায়নকান্দি, বৈঠাপাড়া, বোয়ালিয়া, চটকাবাড়ীয়া, ফলসী, পায়রাডাঙ্গা, নিত্যানন্দরপুর, শৈলকুপা উপজেলার ভাটই ও চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলা থেকে মুসল্লিরা আসেন ঈদের নামাজ পড়তে। এ ছাড়া হরিণাকুন্ডুর ভালকী বাজার ও চরপাড়া পুড়াহাটি এলাকায় ইদের নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।