পবিত্র ঈদুল ফিতরে উত্তরবঙ্গের ঘরমুখী মানুষ যেন প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারেন, সেজন্য খুলে দেওয়া হলো সিরাজগঞ্জের পাঁচিলা ওভারপাস, মুলিবাড়ি ওভারপাস, দাদপুর ওভারপাস ও দাতিয়া সেতু। বর্তমানে ওই ওভারপাসের ওপর দিয়ে ঈদে ঘরমুখো যানবাহন চলাচল করছে।
গতকাল শনিবার (৬ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সেতু ও ওভারপাসগুলো উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে সাসেক-২ প্রকল্পের মাধ্যমে নবনির্মিত মুলিবাড়ি ওভারপাসের দৈর্ঘ্য ৩৯ মিটার, পাঁচলিয়া ওভারপাসের দৈর্ঘ্য ৩৯ মিটার, দাদপুর ওভারপাসের দৈর্ঘ্য ৩৫ মিটার ও দাতিয়া সেতুর দৈর্ঘ্য ৫৬ মিটার।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মো. মাহবুবুর রহমান, সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের সংসদ সদস্য সদস্য ড. জান্নাত আরা হেনরী, সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) সামিউল আলম, সাসেক-২ এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান রাসেল ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
এ সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার সড়ক যোগাযোগে ব্যাপক বিপ্লবীক পরিবর্তন এনেছে। তাই পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ যেন যানজট ছাড়াই স্বস্তি নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারেন এজন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে নবনির্মিত ওভারপাসগুলো খুলে দেওয়া হলো। এটা দেশবাসীর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর উপহার।
সাসেক-২ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান রাসেল বলেন, কাজ শেষ হয়ে যাওয়ায় আজ এই মহাসড়কের তিনটি ওভারপাস ও একটি সেতু খুলে দেওয়া হলো। ঈদযাত্রায় এই সেতু ও ওভারপাস গুলো খুলে দেওয়ায় উত্তরের ঈদযাত্রা আরও সুন্দর ও নির্বিঘ্ন হবে।
প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গোলচত্বর হয়ে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার মহাসড়ক দিয়ে দিয়ে দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের ২২ জেলার মানুষ চলাচল করে। এই মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন ১৮-২০ হাজার যানবাহন চলাচল করে। তবে ঈদের আগে এই সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। ঈদের আগে ও পরে অতিরিক্ত যানবাহন চলাচলের কারণে প্রতি বছরই যানজটের সৃষ্টি হয়, এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও চালকেরা। এই ভোগান্তি এড়াতে নবনির্মিত ওভারপাসগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি চালু হয়েছে চারলেন। যার ফলে এবার এই মহাসড়কে যানজটের কোনও আশংকা নেই বলে ধারণা করছেন কতৃপক্ষ।