বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে ঈদযাত্রায় লঞ্চের আগাম টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে। বেশিরভাগ বিলাস বহুল লঞ্চগুলোর বুকিং অফিস বরিশাল হওয়াতে গেল ২০ মার্চ থেকে কেবিনের চাহিদার আগাম স্লিপ নিয়েছেন যাত্রীরা। আর গত ৩১ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে টিকেট বিক্রি।
সড়কপথে দুর্ঘটনার কথা মাথায় রেখে যাত্রীরা এবার লঞ্চের দিকে ঝুঁকেছেন বলে টিকেটের চাহিদা বেড়েছে।
পদ্মাসেতু নির্মাণের পর গতবছরই ঈদযাত্রায় লঞ্চের যাত্রী ছিলো কম। তবে সড়কপথে বেপরোয়া গতির গাড়ি চলাচলে দুর্ঘটনা বাড়ায় এবছর ঈদযাত্রায় যাত্রীরা ছুটছেন লঞ্চের দিকে।
লঞ্চের টিকেট ক্লার্করাও বলেন, গেল বারের চেয়ে এবার টিকেটের চাহিদা বেড়েছে। সে অনুযায়ী চাহিদার কেবিনের টিকেটের আগাম স্লিপও নিয়েছেন যাত্রীরা।
সুরভী লঞ্চের টিকেট ক্লার্ক আফজাল হোসেন জানান, তারা গত ২০ মার্চ থেকে অগ্রিম স্লিপ দেয়া শুরু করেছেন। এবং ২৮ তারিখ থেকেই যাত্রীরা পাচ্ছেন কেবিন সুবিধা
তবে লঞ্চের ব্যবস্থাপকরা বলছেন, লঞ্চ ব্যবসা এখন উৎসব কেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে। স্বাভাবিক সময়ে লঞ্চ চলে মাত্র দুটি।
সুরভী শিপিং লাইন্সের ব্যবস্থাপক মহম্মদ রিশাদ বলেন, আগে যেভাবে যাত্রী ছিলো এখন তেমন যাত্রী পাওয়া যায় না। স্টাফ, জ্বালানি খরচ মিলে তাতে করে আমরা কোনোভাবে টিকে আছি।
প্রতিবারের মতোই যাত্রীদের নিরাপত্তা ও যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে বাড়তি ব্যবস্থা নিচ্ছে বিআইডব্লিউটিএ। এবার কালবৈশাখীর মৌসুমে ঈদ হওয়ায় লঞ্চ চলাচলে থাকছে বাড়তি সতর্কতা।
বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ নিরাপত্তা ও ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক রিয়াদ হোসেন বলেন, স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে আমরা আমাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।
ঈদ উপলক্ষে দক্ষিণাঞ্চলের ১৩টি রুটে ৪ এপ্রিল থেকে স্পেশাল সার্ভিসে ৭০টি লঞ্চ চলাচল করবে। এরমধ্যে ঢাকা-বরিশাল রুটে চলবে ৭ থেকে ৮টি লঞ্চ। তবে যাত্রীর চাহিদা অনুযায়ী এই সংখ্যা বাড়তে পারে।