এখনও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনের।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন আজ বুধবার (৩ এপ্রিল) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন, পুলিশের চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান, সোনালী ব্যাংক চট্টগ্রাম বিভাগের জিএম ও মুসা খান।
ঘটনার সঙ্গে পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের জড়িতের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, নানা ইঙ্গিতে নামগুলো উঠে আসছে। তবে তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি জানানো হবে। জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন বলেন, হামলাকারীরা ব্যাংকের আইনশৃংখলায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্য, আনসার সদস্যের অস্ত্র ও গুলিও লুট করেছে। ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। ক্রাইম সিন টিম আসছে। সিসি টিভি ফুটেজ দেখে কিছুটা অনুমান করা যায়। বাকিটা তদন্ত সাপেক্ষে নিশ্চিত হওয়া যাবে। যারাই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকুক তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বর্তমানে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে পুরো উপজেলা জুড়ে। এদিকে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রুমা উপজেলা পরিষদ সরকারি কর্মচারী ও উপজেলার সাধারণ মানুষ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। ঘটনার পর থেকে ভেঙে পড়েছেন অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারের স্ত্রী বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের সহকারী অধ্যাপক ইশফাত। ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনের বড় ভাই চট্টগ্রাম কর্ণফুলী থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মিজান উদ্দিন বলেন, আমি এখন রুমায় আছি। ভাইয়ের এখনও কোনো খবর পাইনি। পরিবার থেকে এখন আলাদাভাবে আইনগত কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) তারাবির নামাজ চলাকালে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের একটি সশস্ত্র গ্রুপ সোনালী ব্যাংক পিলসি শাখায় ঢুকে ব্যাংকের ভোল্ট ভেঙে ২ কোটি টাকা লুট করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। তবে এখনও এ তথ্যে সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ সময় তারা ব্যাংকের আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের অস্ত্র লুট এবং ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে মসজিদ থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।