সিলেট ও সুনামগঞ্জে কালবৈশাখীর তাণ্ডবে অন্তত দুই শতাধিক ঘরবাড়ি, দোকানপাট বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।
ঝড়ের মধ্যেই বৃষ্টির সঙ্গে বড় বড় শিলা আঘাতে বেশকিছু গাড়ি কাচ ও বাড়ির টিনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শিলার আঘাত এক জনের মাথা ফেঁটে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
গতকাল রোববার রাত ১০টায় শুরু হয় ঝড়ের তাণ্ডব। এতে সুনামগঞ্জের দুই উপজেলার ২০ গ্রামের দুই শতাধিক বাড়িঘর ও দোকান বিধ্বস্ত হয়।
সিলেটের জগন্নাথপুরের বাসিনা আসিকুর রহমান বলেন, ঝড়ের সঙ্গে এতো শিলাবৃষ্টি আগে কখনো দেখিনি। এবার অনেক ধান হয়েছিল, তবে নিমিষেই অনেক এলাকা শেষ। অনেকের গাড়ির গ্লাস ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে।
এদিকে, অনেককে দেখা গেছে শিলাবৃষ্টির ওজন পরিমাপ করতে। তার একটি এসেছে নিউজ টোয়েন্টিফোরের কাছে। ডিজিটাল স্কেলে মাপা ওই শিলার ওজন ছিল ২০০ গ্রামের বেশি।
এত বড় শিলা মাথায় পড়লে যে কারওই মাথা ফেটে যাওয়ার কথা। তবে এখন পর্যন্ত এই ঝড়ে আহতের খবর মেলেনি। তবে তখন রাস্তায় থাকা গাড়ি, সিএনজি চালিত অটোরিকশার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কোনটির সামনের কাঁচ ভেঙেছে তো কোনো গাড়ির পেছনে। অনেকের বাড়ির টিনের চাল আবার ফুটো হয়ে যায় এতবড় ও ওজনের শিলার আঘাতে।
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, বছরের এই সময়ে ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টিকে কালবৈশাখি বলা হয়ে থাকে। কালবৈশাখিতে সাধারণত শিলাবৃষ্টি হয়।