গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় কুদ্দুস খাঁন(৪৫) নামের আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটের আইসিইউতে তিনি মারা যান। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ জনে। ৭ থেকে ৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
কুদ্দুস খান লালমনিরহাটের কালিগঞ্জ উপজেলার উত্তর মসরাত মেদেতী গ্রামের মো. সুরুজ আলী খানের ছেলে। আজ শনিবার ভোর রাতের দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম তাঁর মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গাজীপুর থেকে কুদ্দুস খানকে ৮০ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। পরে শনিবার ভোর রাতে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
ডা. তরিকুল ইসলাম আরও জানান, এ ঘটনায় সোলাইমান মোল্লা, মনসুর আলী, শিশু তায়েবা, আরিফুল ইসলাম, মহিদুল, নার্গিস খাতুন, জহিরুল ইসলাম, মোতালেব, মো. সোলায়মান, রাব্বি, তাওহীদ, ইয়াসিন, মশিউর রহমান ও কমলা খাতুন,নাদিম,লালন মিয়াসড় এ পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও চিকিৎসাধীন সাত থেকে আট জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
গত বুধবার গাজীপুরের কালিয়াকৈরের তেলিরচালা এলাকায় শফিকুল ইসলাম খানের বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে আগুনে ৩৬ জন দগ্ধ হন। তাঁদের সকলের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে তখন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. সামন্ত লাল সেন।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে ফায়ার সার্ভিস জানায়, স্থানীয় শফিক খান তাঁর বাসার জন্য একটি গ্যাস সিলিন্ডার কিনে আনেন। পরে সিলিন্ডারটি চুলার সঙ্গে সংযোগ দেওয়ার পর এর চাবি থেকে গ্যাস বের হতে শুরু করে। পরে তিনি সিলিন্ডারটি বাইরে রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলেন। তখনও সিলিন্ডার থেকে গ্যাস বের হচ্ছিল। এমন সময় ওই স্থানে একটি মাটির চুলার আগুন থেকে গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন লেগে যায়। এতে রাস্তায় থাকা ৩৬ জন দগ্ধ হয়।