শরীয়তপুরের নড়িয়াতে অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে লিটন লস্কর (৫০) নামে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় পলাতক একই বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক সঞ্জয় মজুমদার।
গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের মূলফৎগঞ্জ এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্ত লিটন লস্কর কেদারপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। তিনি মূলফৎগঞ্জ এলাকার খলিল লস্করের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই শিক্ষার্থী স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। একই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিটন লস্কর দীর্ঘদিন ওই শিক্ষার্থীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। গত রোববার বিদ্যালয় ছুটির পর দুপুরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে লাইব্রেরিতে ডেকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দিয়ে ধর্ষণ করে লিটন লস্কর ও বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক সঞ্জয় মজুমদার। বিষয়টি কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দেওয়া হয় ওই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে। পরে বৃহস্পতিবার শারীরিকভাবে অসুস্থ হলে ভুক্তভোগীর মা ও খালা জিজ্ঞেস করলে বিষয়টি খুলে বলে সে। পরে বিকেলে তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে ভুক্তভোগীর মা নড়িয়া থানায় লিটন লস্কর ও শিক্ষক সঞ্জয় মজুমদারের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। পরে পুলিশ ইউপি সদস্য লিটন লস্করকে গ্রেপ্তার করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) আহসান হাবীব বলেন, এক স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় দুজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এরই মধ্যে প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে।