বিশ্বের সবচেয়ে ধীরগতির শহরের তালিকায় ঢাকা শীর্ষে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটের অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের করা গবেষণা অনুযায়ী, ২০০৫ সালে ঢাকা শহরে ঘণ্টায় গাড়ির গড় গতি ছিল প্রায় ২১ কিলোমিটার। এখন তা কমে ঘণ্টায় চার দশমিক আট কিলোমিটারে এসে ঠেঁকেছে।
এদিকে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) প্রতিবেদন অনুযায়ী, দৈনিক ৫০ লাখ কর্মঘণ্টা গ্রাস করছে রাজধানী ঢাকার যানজট। টাকার হিসাবে যা এক লাখ এক হাজার ৩৬ কোটি টাকা, যা দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২ দশমিক ৯ শতাংশ। এতে প্রবৃদ্ধি কমছে তিন শতাংশের বেশি। দারিদ্র্য মোচনের হারও কমছে আড়াই শতাংশের কাছাকাছি। যানজটের কারণে শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির হিসাব যোগ করলে লোকসানের পরিমাণ আরও বাড়বে।
এমন জটিল প্রেক্ষাপটে ঢাকার মানুষের স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে ২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু করা হয় ঢাকা এলিভেটেপড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের। কাওলা বা বিমানবন্দর এলাকা থেকে শুরু করে সাড়ে ১১ কিলোমিটার পথ ফার্মগেট পর্যন্ত সিগন্যালবিহীন এই উড়াল সড়কের একাংশ চালু হয়েছে গত সেপ্টেম্বরে। এরপর থেকে একের পর এক র্যাম্প চালু করে যাচ্ছে সরকার। এতে এক্সপ্রেসওয়ের পথটুকু নিমিষেই পারি দিতে পারলেও র্যাম্পগুলোতে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজটের। সর্বশেষ গতকাল গতকাল বুধবার ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এফডিসি অংশের ডাউন র্যাম্প চলাচলের জন্য খুলে দেয়ার ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই যানজটে নাকাল হতে হয় যাত্রীদের। তেজগাঁও, হাতিরঝিল, মগবাজার, কারওয়ান বাজারমুখী গাড়িগুলো বিকেল সাড়ে ৪টার পর থেকেই যেন স্থবির হয়ে পড়ে। এতে এক্সপ্রেসওয়ের এক্সিট র্যাম্প ও নিচের সড়কগুলোতে গাড়ির অত্যধিক চাপ দেখা দেয়।
পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠা-নামার প্রত্যেকটি র্যাম্পই যানজট বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। মূলত যানজট নিরসনে ফ্লাইওভার সমাধান দেয়ার বদলে উল্টো যানজট বাড়িয়ে দিবে বলে মনে করছেন তারা। তবে বিশেষজ্ঞদের এরূপ ধারণাকে সমর্থন করছেন না সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তার দাবি- প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ঢাকা শহরের যানজট নিরসনের পাশাপাশি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে। প্রকল্পটি ঢাকা শহরের উত্তর-দক্ষিণ করিডরের সড়ক পথের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। এ ছাড়াও প্রকল্পটি ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সাথে সংযুক্ত হলে ঢাকা ইপিজেড ও উত্তরবঙ্গের সাথে চট্টগ্রাম বন্দরের যোগাযোগ সহজতর হবে।
প্রথম দিনেই কাবু এফডিসি অংশের ডাউন র্যাম্প: গতকাল বুধবার ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এফডিসি অংশের ডাউন র্যাম্প চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। র্যাম্পটি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী, সেতু বিভাগের মো. মনজুর হোসেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার উপস্থিত ছিলেন। বিমানবন্দর, বনানীসহ বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে উঠে এ র?্যাম্প দিয়ে নেমে যাওয়া যাবে কারওয়ান বাজার, হাতিরঝিল, মগবাজার, মিন্টো রোডসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায়। এছাড়া মগবাজার, মালিবাগ ও সাতরাস্তা ব্যবহার করে ঢাকা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে দ্রুত যেতে পারবে।
রেললাইন ধরে গড়ে ওঠা ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কারওয়ান বাজার থেকে চলে গেছে মগবাজারের দিকে। এই যাওয়া পথে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বিএফডিসির সামনে এবং মগবাজারে ফ্লাইওভারকে দুবার অতিক্রম করে এগিয়ে গেছে। কারওয়ান বাজার ও বাংলামোটর এলাকার মাঝামাঝি একদিকে হোটেল সোনারগাঁও, অন্যদিকে আছে বিয়াম স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এ অংশে ঝিলের বেশ কিছু অংশ ভরাট করে হয়েছে এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ। এ প্রকল্প যখন শুরু হয়, তখন নকশায় হাতিরঝিলের পরিকল্পনা ছিল না। পরে এটি সংযোজন করা হয়। ফলে পুরান ঢাকাও যুক্ত হচ্ছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে। হাতিরঝিল থেকে মেট্রোরেলের ওপর দিয়ে পান্থকুঞ্জ ছোঁবে এক্সপ্রেসওয়ের একটি র্যাম্প, যা মোতালেব প্লাজার সামনে দিয়ে কাঁটাবন হয়ে চলে যাবে পলাশীর মোড়ে। এর মাধ্যমে নীলক্ষেত, আজিমপুর, লালবাগ, চকবাজারসহ পুরান ঢাকার জনগণ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সুবিধার আওতায় আসবে।
এদিকে খুলে দেয়ার পরে যানজট না লাগলেও বিকেল ৫টার পর গাড়ির চাপ বেড়ে হাতিরঝিল-এফডিসি মোড় থেকে যানজট পিছিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উপর পর্যন্ত চলে যায়। ফলে প্রথম দিনেই কাবু হয়েছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। এফডিসি অংশের র্যাম্প শেষ হয়েছে মহানগর হাঁস-মুরগি বাজারজাতকরণ সমবায় সমিতির লিমিটেড ভবনের সামনে। এর প্রায় ১২০ মিটার দূরেই হাতিরঝিল-এফডিসি মোড়। উড়ালসড়ক থেকে নেমে আসা ব্যক্তিগত যান (প্রাইভেট কার), ছোট ট্রাক, পিকআপ, বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মিনি বাসগুলোকে র্যাম্প দিয়ে নেমে এই মোড়ের দিকে যেতে হচ্ছে। গাড়িগুলো ওই মোড় হয়ে বাঁয়ে তেজগাঁওয়ের দিকে, সোজা হাতিরঝিলের দিকে, ডানে মগবাজারের দিকে ও ইউ টার্ন নিয়ে সোনারগাঁও-কারওয়ান বাজারের দিকে যাচ্ছে। চালকরা জানান, র্যাম্প থেকে বের হতেই ৩০/৪০ মিনিট সময় চলে যাচ্ছে।
ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ট্রাফিক পুনয়ন্ত্রণে আমাদের কর্মকর্তারা রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাজ করছি। আমরা বলেছিলাম, আপনারা র্যাম্প চালু করার আগে অবশ্যই বাঁ পাশের লেন ক্লিয়ার করে দেবেন। ইউটার্ন এবং মাঝখানের আইল্যান্ড ভাঙার কথা বলেছিলাম। তারা এতদিনে এ কাজটা করতে পারেননি। এজন্যই গাড়ির চাপ বেড়েছে।
প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৭২ দশমিক ৫১ শতাংশ : এদিকে এক্সপ্রেসওয়ের অসম্পূর্ণ কাজ দ্রত গতিতে এগিয়ে চলছে। এ বছরের শেষ নাগাদ সম্প‚র্ণ কাজ শেষ করে ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডের কুতুবখালী পর্যন্ত জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করতে চায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তারা জানান, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ ৭২ শতাংশ শেষ হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি ২৮ শতাংশ কাজ শেষ করা হবে। কমলাপুর স্টেডিয়ামের পাশ দিয়ে ছুটে যাবে এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিটাগং রোডের কুতুবখালী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। এরই মধ্যে সাড়ে ১১ কিলোমিটার প্রস্তুত হওয়ার পর বাকি আছে আর কম-বেশি আট কিলোমিটার পথ। সব মিলে এ পথে ৩১টি র্যাম্প আছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে মোট ৪৬ কিলোমিটার পথের সংযোগ ঘটাবে। পুরো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে রাজধানীর যানজট অনেকাংশে কমে যাবে, এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আর এতে রাজধানীবাসীর যাতায়াত যেমন সহজ হবে, তেমনি সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ ও আধুনিক হলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও এর উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়বে।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৭২ দশমিক ৫১ শতাংশ বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও। গতকাল এফডিসির সামনের ডাউন র্যাম্পটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানিয়ে বলেন, গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশ খুলে দেয়া হয়েছিল। আজ (গতকাল) কারওয়ান বাজার র?্যাম্প খুলে দেয়া হচ্ছে। এটা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে দেশবাসীর জন্য ঈদ উপহার। তিনি বলেন, এই প্রকল্প এই বছরের মধ্যে শেষ হবে না। সামনের বছর শুরুতে পুরোটা খুলে দিতে পারবো। এরপর হাতিরঝিলের র?্যাম্প খুলে দেয়া হবে। সেইভাবেই কাজ চলছে।
যানজট আরও বাড়ার শঙ্কা: ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠা-নামার প্রত্যেকটি র্যাম্পই যানজট বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছেন পরিবহন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে যে ঢাকার যানজট বাড়িয়ে দেবে, তার একটি বড় উদাহরণ হতে পারে কারওয়ান বাজারের সোনারগাঁও মোড়ের জন্য করা প্রকল্পটির নকশা। ম‚লত এ মোড় পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের সংযোগস্থল। এর ওপর দিয়ে গেছে ঢাকার প্রথম মেট্রোরেল। রয়েছে একটি এলিভেটেড মেট্রো স্টেশনও। পাশাপাশি সোনারগাঁও হোটেলের সামনে এসে নেমেছে মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের একটি র্যাম্প। এ মোড়কে ঘিরে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের জন্য আরো দুটি র্যাম্প তৈরি করা হচ্ছে। একটি দিয়ে যানবাহন এক্সপ্রেসওয়েতে প্রবেশ করবে, আরেকটি দিয়ে বের হবে। তারা বলছেন, এক্সপ্রেসওয়ে থেকে বের হওয়া যানবাহনগুলো সোনারগাঁও মোড়ে বাড়তি চাপ তৈরি করবে। একইভাবে সোনারগাঁও মোড় হয়ে যেসব যানবাহন এক্সপ্রেসওয়েতে উঠবে, সেগুলোও চাপ বাড়াতে ভ‚মিকা রাখবে। আবার এক্সপ্রেসওয়ের জন্য দুটি র্যাম্প তৈরি করা হলে সোনারগাঁও মোড়ের যানবাহন ধারণক্ষমতাও কমে আসবে বলে মনে করছেন তারা।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সামছুল হক এ বিষয়ে বলেন, যানজট নিরসনে ফ্লাইওভার যে সমাধান দেয়ার বদলে উল্টো যানজট বাড়িয়ে দিয়েছে, এর উদাহরণ হলো ঢাকার বিভিন্ন ফ্লাইওভার। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র্যাম্পগুলোও একই অবস্থা তৈরি করতে যাচ্ছে। র্যাম্পের কারণে ঢাকার যানজট বাড়বে না কমবে, সে বিতর্কগুলো আমরা ২০১০ সালের দিকেই করেছি। কিন্তু সরকার আমাদের কথায় কান দেয়নি। নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করতে গিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি এগিয়ে নিয়েছে।
যানজট নিরসনের পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও প্রভাব ফেলবে- দাবি মন্ত্রীর: প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ঢাকা শহরের যানজট নিরসনের পাশাপাশি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল এফডিসির সামনের র্যাম্প উদ্ভোধনকালে তিনি জানান, ঢাকা শহরের যানজট নিরসনসহ ভ্রমণ সময় ও ব্যয় সাশ্রয়ের লক্ষ্যে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। প্রকল্পটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ভিত্তিক দেশের বৃহত্তম প্রকল্প। প্রকল্পটি হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে শুরু হয়ে কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-মালিবাগ-খিলগাঁও-কমলাপুর হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক (কুতুবখালী) পর্যন্ত যাবে। প্রকল্পের মূল দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কি.মি.। র্যাম্পসহ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কি.মি.। সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পটি ঢাকা শহরের উত্তর-দক্ষিণ করিডোরের সড়ক পথের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। এ ছাড়াও প্রকল্পটি ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সাথে সংযুক্ত হলে ঢাকা ইপিজেড ও উত্তরবঙ্গের সাথে চট্টগ্রাম বন্দরের যোগাযোগ সহজতর হবে। এতে করে ঢাকা শহরের যানজট নিরসনের পাশাপাশি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে।
উল্লেখ্য, ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা খরচ করে ঢাকার প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি তৈরি করছে থাইল্যান্ডভিত্তিক কনগেøামারেট প্রতিষ্ঠান ইতালথাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড, চীনের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান শ্যানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রæপ ও সিনোহাইড্রো করপোরেশন। এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মাণ, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গঠন করা হয়েছে ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নামের একটি বেসরকারি কোম্পানি। নির্মাণ-পরবর্তী সাড়ে ২১ বছর টোল আদায় করবে এ কোম্পানি।