নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় ‘ডাকাত সন্দেহে’ গ্রামবাসীর পিটুনিতে অন্তত চার জন মারা গেছেন। গুরুতর আহত একজনকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ সোমবার ভোররাত ১২টার দিকে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের বাগরি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাউ মারমা।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল-খ) শেখ বিল্লাল হোসেন জানান, গত রবিবার দিবাগত রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে সোনারগাঁওয়ের কাঁচপুর ইউনিয়নের বাঘরি গ্রামের বিলে এ গণপিটুনির ঘটনা ঘটে।
পুলিশের এ কর্মকর্তা আরো জানান, রবিবার রাত ১০টার দিকে বাঘরি গ্রামের বিলে অপরিচিত ১০/১২ জন যুবককে এক সঙ্গে দেখতে পায় এলাকার এক যুবক। বিষয়টি গ্রামে এসে জানালে মসজিদের মাইকে ডাকাত দলের উপস্থিতির কথা প্রচার করা হয়। এতে আরো তিন গ্রামের বাসিন্দারা চারদিক থেকে বিলে অবস্থান করা যুবক দলকে ঘিরে ফেলে। এ সময় উত্তেজিত জনতা ডাকাত দল সন্দেহে যুবকদের গণপিটুনি দেয়া শুরু করে। এতে ঘটনাস্থলে ৩ জন এবং হাসপাতালে নেয়ার পর আরো একজন প্রাণ হারায়।
গুরুতর আহত অবস্থায় আরেকজন বর্তমানে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে সোনারগাঁও উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের কাজরদি (কুন্দেরপাড়া) এলাকার মৃত শামসুল হক মাস্টারের বাড়িতে এবং একই গ্রামের ইসলাম মুন্সীর বাড়ির দুই পরিবারের সদস্যদেরকে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে।
এ সময় প্রতিবাদ করলে ডাকাতরা ধারালো চাপাতি দিয়ে ইসলাম মুন্সীর হাতে, পায়ে ও মাথায় কুপিয়ে মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত জখম করে।