শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে চারটি ইউনিয়নের সঙ্গে উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটাই বিচ্ছিন্ন।যোগাযোগের ক্ষেত্রে একমাত্র মাধ্যম রয়েছে নৌকা। যা বহু বছর ধরে একইভাবে চলছে।
এই ইউনিয়নগুলোতে দিনে নৌকায় যাতায়াত করলেও সন্ধ্যার পর বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে যোগাযোগ। এতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দুর্ভোগ পোহাতে হয় রোগীদের। এ নিয়ে প্রশাসন জানিয়েছে, যোগাযোগের সমস্যা নিরসনে একটি সেতুর প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
নৌকা বা ট্রলারে করে শরীয়তপুরের নওপাড়া, চরাত্রা, কাঁচিকাটা ও কুন্ডেরচর ইউনিয়নের বাসিন্দারা যাতায়াত করেন জেলা-উপজেলায়। দিনে নৌকা চললেও সন্ধ্যার পর বন্ধ হয়ে যায় যোগাযোগ। এ ছাড়া বর্ষা মৌসুমে নদীতে প্রবল স্রোত থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় চার ইউনিয়নের বাসিন্দাদের। এ সময় বেশি দুর্ভোগে পড়ে শিক্ষার্থী ও রোগীরা।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ব্রিজ ও রাস্তার সমস্যার কারণে ছেলে-মেয়েরা ভালো স্কুল-কলেজে গিয়ে লেখাপড়া করতে পারছে না। এ ছাড়া কেউ যদি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে, তাকে নিয়ে হাসপাতালে যেতেও পোহাতে হয় অনেক ভোগান্তি।
স্থানীয়রা আরও বলছে, ঝুঁকির পাশাপাশি নৌকা পারাপারে অর্থ ও সময় বেশি লাগছে। ডাকাতির ঘটনাও ঘটছে। দুর্ভোগ অবসানে পদ্মা চরের নাওডোবা-মুন্সিগঞ্জ এলাকায় সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছে তারা।
দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র বৈদ্য জানান, যোগাযোগ ব্যাবস্থার সমস্যা সমাধানে এরইমধ্যে ৩২০ মিটার একটি সেতুর প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এতে শিক্ষা ও কৃষি বিভাগ আরও প্রসারিত হবে।
শরীয়তপুরের এই চারটি ইউনিয়নে এক লাখের বেশি মানুষ বসবাস করে।