এখনো মাঝে-মধ্যেই মিয়ানমার থেকে ভেসে আসছে গুলির শব্দ। গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকেও সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের ঢেকিবুনিয়া থেকে ভারি গোলা বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শুনেছেন নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু এলাকার লোকজন। বৃহস্পতিবার রাতেও টেকনাফ সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির আওয়াজ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় কয়েকজন।
আজ মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ভোর থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ পান সীমান্তের লোকজন। তবে সীমান্ত দিয়ে যাতে নতুন করে অনুপ্রবেশ ঘটতে না পারে সেজন্য বিজিবি সর্তক অবস্থানে রয়েছে।
জানা গেছে, মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা টেকনাফ অংশে দেশটির শহর বলিবাজার ও কুমিরখালী ঘাঁটি দখল নিতে চাচ্ছে। দেশটি সরকারি বাহিনী প্রতিরোধ করছে। এই নিয়ে চলছে তুমুল সংঘর্ষ। কুমিরখালী ঘাঁট বড় হাওয়ায় বিদ্রোহীরা সহজে দখল নিতে পারছে না।
হোয়াইক্যং সীমান্তের বাসিন্দা শাহিন আলম জানান, সীমান্তে সকাল থেকে থেমে থেমে গুলিবর্ষণ হচ্ছে। এখানকার লোকজন খুব ভয়ভীতির মধ্য রয়েছে। এ বিষয়ে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর আহমেদ আনোয়ারী বলেন, তার এলাকায় হোয়াইক্যংয়ে নাফ নদের ওপারে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। লোকজনকে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে। কিন্তু সীমন্ত দিয়ে কোনও লোকজন অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেজন্য আমরাও সর্তক অবস্থানে আছি। টেকনাফ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, সীমান্তে কিছু জায়গায় গুলিবর্ষণের খবর পেয়েছি। তবে অন্যদিনের তুলনায় সীমান্তে গোলাগুলি কমেছে। লোকজন যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেজন্য আমরা সর্তক অবস্থানে রয়েছি। এখন পর্যন্ত ১৩৭ রোহিঙ্গাকে প্রতিহত করা হয়েছে।