দেশের বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন মাত্রায় বয়ে যাচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ। এই শৈত্যপ্রবাহ আরও বিস্তৃত হতে পারে। আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মৌলভীবাজার, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
এদিকে তীব্র শীতে কাঁপছে পঞ্চগড়। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে এই জেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটাই চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপামাত্রা বলে জানা গেছে। তাপমাত্রা কমে আসায় হাড়কাঁপানো কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে।
পঞ্চগড় জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যাবেক্ষনাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, পঞ্চগড়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বইছে। গত কয়েক দিন ধরেই জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি, এরপর দুইদিন তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বইছে। কুয়াশা ও হিমশীতলের বাতাসের কারণে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। রোববার ভোর ৬টায় জেলায় ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, আজ রোববার সকাল ৬টায় দিনাজপুরেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে প্রায় ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে টানা শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। তীব্র শীতে দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষের। কাজকর্ম কমে যাওয়ায় তাদের অভাব-অনটনে দিন কাটছে। নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে রোগীদের চাপ বাড়ছে।