বাড়ছে শৈত্যপ্রবাহের বিস্তৃতি। মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে ৪৩ জেলা। গতকাল মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা ও সিরাজগঞ্জে ছিল মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে তীব্র শীতের সঙ্গে ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাপন। গরম কাপড়ের অভাবে কাজে বের হতে না পারায় খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। পাশাপাশি হাসপাতালে বেড়েছে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা।
আবহাওয়া অফিস বলছে, এমন পরিস্থিতি আরও দু-তিন দিন থাকতে পারে। খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে আজ বুধবার বৃষ্টি হতে পারে। গতকাল ঢাকায় তাপমাত্রা নেমে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়। রাজধানীর জন্য এটি মৌসুমের সর্বনিম্ন। তবে গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে– ২৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেছেন, মৌলভীবাজার, বরিশাল, ভোলা, কুমিল্লা জেলাসহ ঢাকা, রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সূর্যের দেখা মেলায় তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রবণতা থাকবে। তাতে কিছু কিছু জায়গায় শৈত্যপ্রবাহ প্রশমিত হতে পারে।
২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেদিন পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নামে দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন– ২ দশমিক ৬। এর আগে ২০১১ সালের ১২ জানুয়ারি যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি দিনাজপুরে ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের রেকর্ড রয়েছে।
১৯৬৮ সালে শ্রীমঙ্গলে ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার একটি রেকর্ড রয়েছে।
পারদ ১০ ডিগ্রির নিচে নামায় বিভিন্ন জেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাসের সময় পিছিয়ে সকাল ১০টা করা হয়েছে।
উত্তরবঙ্গসহ বেশির ভাগ জেলায় অনুভূত হচ্ছে মাঘের হাড় কাঁপানো শীত। গতকাল সকালে রাজধানীতে সূর্যের দেখা মিললেও হিমেল হাওয়া বয়ে যাওয়ায় ছিল কাঁপুনি ধরানো শীত। এতে বিপাকে পড়েন খেটে খাওয়া মানুষ।