দেশের উত্তরাঞ্চল এবং রাজশাহী, ঢাকা ও খুলনাসহ অনেক জেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ। ঘনকুয়াশা ও হিমেল বাতাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও কমেছে। দেশের দুই জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার সকালে চুয়াডাঙ্গা ও সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়িতে সর্বনিম্ন এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক।
তিনি জানান, উত্তরাঞ্চলসহ দেশের অনেক জায়গায় আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা ৬ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘনকুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা থাকতে পারে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। সামান্য কমতে পারে দিনের তাপমাত্রা।
সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল দিনাজপুর ও নওগাঁর বদলগাছীতে, ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ ২৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফে। আর ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ১ ডিগ্রি ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।রোববার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাজশাহী, ঈশ্বরদী ও বদলগাছীতে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, জানুয়ারি মাসজুড়েই শীত থাকবে। ২৪ ও ২৫ জানুয়ারি দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে। পরদিন থেকে আবার আবহাওয়া স্বাভাবিক হতে পারে।