শীতপ্রধান জেলা হিসেবে পরিচিত পঞ্চগড়ে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। তাপমাত্রা কমে এসে নেমেছে ১০ ডিগ্রির ঘরে। এতে কুয়াশার পরিমাণ কম থাকলেও ঠান্ডার কারণে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জনজীবন। কনকনে শীতে দুর্ভোগ পোহাছেন নিম্নআয়ের সাধারণ মানুষ।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর ৩ ঘণ্টা পর সকাল ৯টায় তাপমাত্রা কমে দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সকাল ৯টার পর খানিকটা উঁকি দিয়েছে সূর্য।
ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে কমে হয়েছে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
এসময়ে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। বাংলাদেশের পশ্চিম (খুলনা বিভাগ) এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের (রাজশাহী) কোথাও কোথাও মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ।
তিনি আরও জানান, শুক্রবার দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে, কিন্তু শনিবার রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়া ছিল টেকনাফে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।