বরিশালের মুলাদীতে জমি বিক্রি করতে গিয়ে নিজের মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছেন রফিজদ্দিন হাওলাদার। গত মঙ্গলবার মুলাদী সাবরেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে জমি বিক্রি করতে গিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি তুলে মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পারেন।
তবে কী কারণে জাতীয় পরিচয়পত্র সার্ভারে তাকে মৃত দেখানো হয়েছে তা বুঝতে পারেননি তিনি।
রফিজদ্দিন হাওলাদার (৯০) উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের পশ্চিম চরনাজিরপুর গ্রামের ইসরাইল হাওলাদারের ছেলে। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দাবি, ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময় তথ্য সংগ্রহকারীদের প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে রফিজদ্দিন হাওলাদারের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, বর্তমানে জমি হস্তান্তর করতে জাতীয় পরিচয়পত্র এবং অনলাইন যাচাইয়ের অনুলিপি প্রয়োজন হয়। রফিজদ্দিন হাওলাদারের মূল জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে অনুলিপি তুলতে যান।
রফিজদ্দিন হাওলাদার জানান, বিশেষ প্রয়োজনে জমি বিক্রি করতে হয়েছে তাকে। জমি বিক্রির জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের অনলাইন কপি তুলতে কম্পিউটারের দোকানে গেলে পাওয়া যায়নি। পরে অনুলিপি তুলতে নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান তিনি। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা একটি অনুলিপি প্রিন্ট করে দেন; কিন্তু সেখানে তাকে মৃত দেখানো হয়েছে। পরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের প্রত্যয়নপত্র নিয়ে জমি বিক্রি নিবন্ধন (রেজিস্ট্রি) করেন তিনি।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম খান জানান, রফিজদ্দিন নির্বাচন কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি নিয়েছেন। জাতীয় পরিচয়পত্রের সার্ভারে তাকে মৃত দেখানোর বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় তথ্য সংগ্রহকারীদের ভুলে তার নাম কর্তন এবং সার্ভারে মৃত দেখানো হয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে দ্রুত সংশোধন করে দেওয়া হবে।