সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকার গঠন ও কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে ডাকা অষ্টম দফায় বিএনপি ও যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোর ডাকা দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
আজ বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ৬টায় শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশজুড়ে টানা ২৪ ঘণ্টা চলবে এ সর্বাত্মক অবরোধ।
দেশব্যাপী এই সর্বাত্মক অবরোধের আওতায় থাকবে রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথ। আর ২৪ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শেষ হতেই বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে ১২ ঘণ্টা হরতাল পালন করবে বিএনপি-জামায়াত ও যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সরকারবিরোধী দলগুলো।
এর আগে, সোমবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।এদিকে, নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপির ডাকা একের পর এক হরতাল-অবরোধ ডাকছে বিএনপি। ভোর ৬টা থেকে অষ্টম দফায় এই অবরোধ শুরুর আগে মঙ্গলবার রাতে কয়েকটি জায়গায় নাশকতার ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার রাতে বাগেরহাটে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় অবরোধ সমর্থনকারীরা। এতে মুহূর্তেই বাসের ভেতরের অংশ পুড়ে যায়। পড়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নেভায়। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজধানীর শান্তি নগরে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। শান্তি নগরের ঘটনায় দুজন ঢাকা মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
গতকাল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে একটি ট্রাকে আগুন দেয় অবরোধকারীরা। এতে দগ্ধ হওয়া হেল্পার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন। শ্বাসনালী পুড় যাওয়ায় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে কোনো মতে বেঁচে যান চালক।
এদিকে বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর সপ্তম দফায় ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শেষ হয় মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ভোর ৬টায়। একদিন বিরতি দিয়ে এরপর আজ থেকে শুরু হলো অষ্টম দফার ২৪ ঘণ্টার অবরোধ।