টানা চতুর্থবারের মতো আজ থেকে অবরোধ শুরু হচ্ছে। মাঝে গত ৭ নভেম্বর ও শুক্রবার-শনিবার বিএনপি-জামায়াতের কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও লাগাতার অবরোধে গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছে সাধারণ মানুষ।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের হিসাব অনুযায়ী, গত ২৮ অক্টোবর থেকে গতকাল শনিবার পর্যন্ত সহিংসতা, পুলিশ হত্যা, বিস্ফোরক, বাসে আগুন ও নাশকতার আটটি বিভাগে ১৩১টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় গত ১৪ দিনে গ্রেফতার করা হয়েছে ১ হাজার ৮১৩ জনকে। এছাড়াও সারা দেশে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ১৪ দিনে ৩৫০ জন আসামি গ্রেফতার করেছে। তার মধ্যে পুলিশ হত্যা মামলার আসামি ও নাশকতাসহ বিভিন্ন সময় সহিংসতার ঘটনায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারাও রয়েছেন।
বিএনপি-জামায়াতের পাশাপাশি গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, গণফোরাম, গণঅধিকার পরিষদ, এনডিএমসহ যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সমমনা অন্যান্য দল ও জোটের পক্ষ থেকেও এ কর্মসূচি পালন করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত দুই সপ্তাহে তিন দফায় ১৬০ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপিসহ সমমনা দল ও জোট। গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের পর বিএনপিসহ সমমনা দল ও জোটগুলো কঠোর কর্মসূচিতে যায়।
ওই ঘটনার পরদিন সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে তারা। এরপর শুরু হয় অবরোধ কর্মসূচি। প্রথম দফায় ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিন, দ্বিতীয় দফায় ৫ নভেম্বর থেকে ৪৮ ঘণ্টা ও তৃতীয় দফায় ৮ নভেম্বর থেকে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়। চতুর্থ দফায় ১২ নভেম্বর থেকে একই কর্মসূচি পালন করবে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো।