বাংলা মাস কার্তিকের শেষ দশক চললেও ইতোমধ্যে দেশের উত্তরাঞ্চলে আগমনী বার্তা দিচ্ছে শীত। ক্রমেই তাপমাত্রা কমছে উত্তরে। বিশেষ করে একেবারে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। মাঝরাত থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে চারদিক। ভোরবেলায় কেটে যাচ্ছে কুয়াশা। এ সময়টাতে হালকা কাঁথা ও কম্বল গায়ে জড়িয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন মানুষ।
হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় উত্তরের এই জনপদে প্রতিবছর শীতের আগমন ঘটে কিছুটা আগেভাগে। আর শীত বিদায়ও নেয় দেরিতে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। কয়েকদিন ধরেই উত্তরের এই জেলায় তাপমাত্রা কমছে। রাতভর টিপটিপ বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। সকাল ৮টার পর ঝলমলে রোদের দেখা মেলে। দিনে গরম, রাতে হালকা ঠান্ডা ও ভোরে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।
সন্ধ্যার পর এই জনপদের বেশিরভাগ মানুষই মোটা জামা পরে বের হচ্ছেন। সেই সঙ্গে রাতে ঘুমাতে হচ্ছে কাঁথা-কম্বল গায়ে জড়িয়ে। মধ্যরাতের পর থেকে ভোররাত পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকে চারপাশ। শীতের এমন ছোঁয়া পড়েছে গোটা পঞ্চগড় জেলায়।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। বিগত এক সপ্তাহে তাপমাত্রা ১৯ থেকে নেমে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস নেমে গেছে। স্থানীয়রা জানায়, এবার আশ্বিনে শীতের অনুভূতি বিরাজ করছে প্রকৃতিতে। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত শীতের আমেজ অনুভূত হচ্ছে। মধ্যরাতে কাঁথা গায়ে মুড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এবার শীত একটু আগেভাগেই এসেছে বলে তারা মনে করছেন।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল ছিল ১৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তর হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ায় শীতের আগমন ঘটে। আগাম শীতের অনুভূতির কারণে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। প্রতিদিন গড় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ থেকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠানামা করছে। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস জানায়, আগাম শীতের অনুভূতির কারণে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। তবে নভেম্বরে শেষে শীতের মাত্রা আরও কমবে বলে জানায় আবহাওয়া পর্যেবক্ষণ কর্মকর্তা। উত্তরের আরেক জেলা নীলফামারীতেও শীত অনুভূত হচ্ছে। সেখানেও মাঝরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা থাকছে চারপাশ।