‘বাজার অস্থিতিশীল করছে বড় ব্যবসায়ীরা’: ভোক্তার মহাপরিচালক

সংগৃহীত ছবি

করপোরেট কোম্পানি বা বড় বড় ব্যবসায়ীরা বাজার অস্থিতিশীল করে, এটা গ্রহণযোগ্য নয়। এছাড়া বেশ্বিক পরিস্থিতি, ডলারের মূল্য বৃদ্ধি, ফ্রেইট কস্ট, জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি কারণে দ্রব্যমূল্য বাড়লেও দেশে উৎপাদিত পণ্যের দাম বাড়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই বলে জানান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান।

গত সোমবার অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ভোক্তা অধিকার সচেতনতা বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফাইনালের আয়োজন নিয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আয়োজন করা হয়। প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহাপরিচালক এ কথা বলেন।

সচেতনতামূলক ই বিতর্ক প্রতিযোগিতাটি যৌথভাবে ভোক্তা অধিদপ্তর ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজন করছে। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়াম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী সপ্তাহে প্রতিযোগিতার সেমিফাইনাল হবে। পরবর্তীতে গ্র্যান্ড ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান হবে। এতে চ্যাম্পিয়ন দল পুরস্কার হিসাবে নগদ দুই লাখ টাকা এবং রানারআপ দল এক লাখ টাকা পাবে।

সফিকুজ্জামান আরও বলেন, ‘আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সবসময় অভিযান পরিচালনা করছে। আলু ন্যায্যমূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে উৎপাদক পর্যায় থেকে খুচরা ব্যবসায়ী পর্যন্ত অধিদপ্তর লিংকেজ করে দিচ্ছে। যাতে সরকার নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি করা যায়। তবে শুধু আলুর দাম কমালেই হবে না, কৃষকদের উৎপাদন খরচও বিবেচনা করতে হবে।’

তিনি জানান, সরকার বাধ্য হয়ে ডিম আমদানি করছে। যারা ডিমের দাম নিয়ে কারসাজি করছে তাদের নিয়ন্ত্রণের জন্যই ডিম আমদানি করা হচ্ছে। ভোক্তা অধিকার আইনের কিছুটা দুর্বলতার পাশাপাশি জনবল সংকট রয়েছে। ১৭টি জেলায় অধিদপ্তরের কোনো কর্মকর্তা নেই। তার পরও সারা দেশে প্রতিদিন অধিদপ্তরের ৪০ থেকে ৫০টি টিম দাম নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে শুধু বিক্রেতা নয় ক্রেতাসহ সাধারণ জনগণকেও আওয়াজ তুলতে হবে। যাতে সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরি হয়। সে লক্ষ্যেই ভোক্তা অধিকার সচেতনতাবিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।