সরকারি দলের সংখ্যালঘু বান্ধব নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবিতে আগামী ৪ নভেম্বর রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করবে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। পাশাপাশি ৬ অক্টোবর বিকেল ৪টায় রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের সমাবেশ ও মিছিল করবে সংগঠনটি।
রোববার (০১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানায় পরিষদের নেতারা। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু সংগঠনসমূহের ঐক্যমোর্চা যৌথভাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ হবে না। এ বিষয়ে সব রাজনৈতিক পক্ষের ঐকমত্য জরুরি। সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় সব রাজনৈতিক পক্ষের ঐক্যের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত।
সরকারি দলের সংখ্যালঘু বান্ধব নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবিতে চলমান কর্মসূচির বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেন, ৬ অক্টোবর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ আয়োজনের পূর্বতন সিদ্ধান্ত বাতিলক্রমে ৪ নভেম্বর শনিবার দুপুর ২টায় একই স্থানে মহাসমাবেশ আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক।
উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সহসভাপতি ও মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথ, জগন্নাথ হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি মিলন কান্তি দত্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন কর্মকার, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী মহাসচিব পলাশ কান্তি দে, ওয়ার্ল্ড হিন্দু ফেডারেশন বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সভাপতি বরুণ চন্দ্র সরকার, শারদাঞ্জলি ফোরামের সভাপতি রতন চন্দ্র পাল, ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা স্বপ্না বিশ্বাস, অ্যাডভোকেট অপূর্ব ভট্টাচার্য, সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য, সুবীর দত্ত, বাপ্পাদিত্য বসু, মঞ্জু রানী প্রামাণিক প্রমুখ।