ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ২৩ বস্তা টাকা

সংগৃহীত ছবি

ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদটি কিশোরগঞ্জ শহরে নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত। এই মসজিদে আটটি লোহার দানবাক্স রয়েছে। অনুদানের জন্য বাক্স প্রতি তিন মাস পর পর চেক করা হয়। তিন মাস তেরো দিন পর এখন দান বাক্সগুলো খোলা হয়েছে।

শনিবার সকাল ৮টায় আটটি দান বাক্সে ২৩ বস্তা টাকা ছিল। এতে সোনার গয়না ও বৈদেশিক মুদ্রাও ছিল। ব্যাগ গোনা শুরু হয়েছে। মোট ২০০ জন অংশগ্রহণকারী ছিল।

পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি ও কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের কাছ থেকে যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

রমজানে চার মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে গত ৬ মে খোলা হয় দানবাক্স। এরপর ১৯টি বস্তায় রেকর্ড পরিমাণ ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা, সোনার গয়না ও হীরা উদ্ধার করা হয়।

এ ছাড়া চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি তিন মাস একদিন পর দানবাক্স খোলা হয়। ২০টি বস্তায় ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা বৈদেশিক মুদ্রা ছাড়াও সোনার গয়না ও হীরা উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পাশাপাশি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে মসজিদের জন্য আটটি দান বাক্স খোলা হয় বলে জানা গেছে। এখন গণনা শুরু হয়েছে।

অর্থ গণনা করেন সিনিয়র সহকারী কমিশনার (ভূমি), নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাশিতা-তুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), এটিএম ফরহাদ চৌধুরী, তানিয়া আক্তার, নাবিলা ফেরদৌস, মাহমুদা বেগম সাথী, ফাতেমা-তুজ-জোহরা, পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর। রহমান ও রূপালী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা আনোয়ার পারভেজ, ১১২ জন মাদ্রাসা শিক্ষার্থী, ৫০ জন ব্যাংক কর্মচারী, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন সদস্য এবং ১০ জন আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা।