আগামীকাল থেকে আবারও বৃষ্টি বাড়তে পারে

বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অফিস সুখবর দিলো
প্রতীকী ছবি

বাংলাদেশে বর্তমানে মোটামুটি সক্রিয় মৌসুমী বায়ু চলছে। ফলে গতকাল বুধবার সারাদেশে উল্লেখযোগ্যভাবে কম বৃষ্টি হয়েছে। এতে মাত্র দেড় ঘণ্টার বৃষ্টিতে ঢাকার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, আজ বৃহস্পতিবার দেশে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরো কমতে পারে।

তবে শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি আবার ফিরে আসতে পারে এবং আগামী সোমবার পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এর পরে, বৃষ্টির পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসতে পারে।

সারাদেশে আজ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি এবং ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। যদিও গতকালের তুলনায় আজ কম বৃষ্টি হতে পারে।

আজ রংপুর, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে নদীর পানি কমে যাওয়ায় চট্টগ্রাম ও পার্বত্য জেলার জলাবদ্ধতা ও বন্যা পরিস্থিতিরও উন্নতি হয়েছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলীয় পাহাড়ি অববাহিকার প্রধান নদী (মুহুরী, ফেনী, হালদা, কর্ণফুলী, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী) শুকিয়ে যাচ্ছে।

এতে আজ চট্টগ্রাম ও বান্দরবান জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির আরো উন্নতি হতে পারে।

পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সহকারী প্রকৌশলী মেহেদী হাসানের মতে, ” ‘বৃষ্টি কমে আসায় ও নদীর পানি কমতে থাকায় এখন দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের এলাকাগুলোর পরিস্থিতি ক্রম উন্নতির দিকেই থাকবে।’

সারাদেশে আজ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি এবং ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। যদিও গতকালের তুলনায় আজ কম বৃষ্টি হতে পার।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘১১ আগস্ট (আগামীকাল) বা তার পরদিন থেকে মৌসুমি বায়ু আবার সক্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে শুক্রবার থেকে সোমবার (১১-১৪ আগস্ট) পর্যন্ত বৃষ্টি আবার বাড়তে পারে। এ সময় দেশের কোথাও কোথাও ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে এর পর থেকে সারা দেশেই বৃষ্টিপাতের তীব্রতা অনেকটাই কমে আসতে পারে।

আগের দিনের (মঙ্গলবার) ধারাবাহিকতায় গতকালও চট্টগ্রাম ও উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টি কমে আসে অনেকটাই। তবে দেশের অন্যান্য অংশের তুলনায় এই অঞ্চলে বৃষ্টি এখনো বেশি। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফে, ৯৮ মিলিমিটার। এ ছাড়া কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ৬৪, কক্সবাজার ও রাঙামাটিতে ৫৬ মিলিমিটার করে এবং পটুয়াখালীতে ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

দেড় ঘণ্টার বৃষ্টিতে ঢাকায় জলাবদ্ধতা

রাজধানীতে গতকাল সকাল থেকেই সূর্যের দেখা মিলেছিল। তবে বিকেল ৪টার দিকে হঠাৎই মেজাজ বদলে ফেলে ঢাকার আকাশ। মুষলধারে বৃষ্টি নামে, যা চলে একটানা প্রায় দেড় ঘণ্টা। আর এতেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ও অলিগলিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। যানজট ও জলাবদ্ধতায় বিড়ম্বনায় পড়ে অফিসফেরত ও সাধারণ মানুষ।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সড়ক ও অলিগলিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতায় বিভিন্ন সড়কে তৈরি হয় তীব্র যানজট। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৩৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়।