গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকার একটি তিনতলা বাড়ির নিচ তলা থেকে পুলিশ তাসলিমা আকতার (৩০) নামের এক নারীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনার পর থেকে) নিখোঁজ রয়েছেন ওই নারীর স্বামী মো. আল আমিন (৩৪।
স্বজনদের দাবি, পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে হত্যার পর পালিয়ে গেছেন স্বামী আল আমিন। পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
আজ বুধবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে শ্রীপুর পৌর এলাকার চন্নাপাড়া গ্রামে রমিজ উদ্দিন প্রধানের বাড়ির নিচ তলার ফ্ল্যাটে।
নিহত তাসলিমা আকতার নেত্রকোনার সদর থানার পাটালি গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের মেয়ে। প্রায় ৬ বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক থেকে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার বড়বাড়ি গ্রামের গফুর মিয়া ছেলে মো. আল আমিনকে বিয়ে করেন। তাসলিমা-আল আমিনের সংসারে চার বছরের এক ছেলে আছে। পরিবারকে নিয়ে ৫ মাস আগে শ্রীপুর পৌরসভার চন্নাপাড়া গ্রামের ওই ভবনের নিচ তলা ভাড়া নেন আল আমিন। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করতেন।
বাড়ির মালিকের মেয়ে সুমাইয়া আকতার রিমা জানান, আজ সেহেরি খাওয়ার পর আল আমিন তার ভাই মেহেদী হাসান রিমনকে মোবাইল ফোনে তাসলিমার অসুস্থতার কথা জানান। রিমন উত্তরা থেকে বিষয়টি বাড়ির মালিককে জানান। বাড়ির লোকজন নিচে গিয়ে আল আমিনের ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ দেখতে পান। বাড়ির লোকজন দরজা খুলে কক্ষে ঢুকে দেখেন, তাসলিমার মুখে বালিশ চাপা দেওয়া। রক্তমাখা মরদেহ পড়ে আছে। খবর পেয়ে শ্রীপুর থানার পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের মামাতো ভাই মো. রাসেল মিয়া বলেন, ‘তাসলিমার স্বামী নিজেকে সেনাবাহিনীর অবসর সৈনিক বলে পরিচয় দিত। তবে আমরা কখনো বিষয়টির সত্যতা পাইনি। তাসলিমার সঙ্গে তার স্বামীর নানা বিষয়ে প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকত। গত রোববার তাদের মধ্যে ঝগড়া হলে আমরা পারিবারিকভাবে তা সমাধান করে দেই। তবে কী কারণে কে বা কারা এমন কাজ করেছে, তা নিশ্চিত নই। আমরা ধারণা করছি, তাসলিমাকে হত্যা করে আল আমিন পালিয়েছেন।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাসলিমার স্বামী আল আমিনকে আটকের জন্য অভিযান চলছে, তাকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মূল ঘটনা জানা যাবে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’