আজ শারদীয় দুর্গা উৎসবের মহাষ্টমী। সকালে কুমারী পূজার ক্ষণ। এ পূজার জন্য শাস্ত্রমতে তাদেরই বেছে নেয়া হয়, বিশেষ করে যাদের মন সৎ, নিষ্পাপ। এ গুণ কেবল কুমারীদের মধ্যে থাকতে পারে, এ ভাবনা থেকে তাদের দেবী রূপে পূজা করা হয়। সাধারণত পাঁচ থেকে সাত বছরের কন্যাকে কুমারী পূজার জন্য মনোনীত করা হয়। নতুন বস্ত্র, ফুলের মালা, মুকুট, পায়ে আলতা, কপালে সিঁদুরের টিপ ও তিলক পরিয়ে সাজিয়ে তোলা হয় কুমারীদের। সনাতন শাস্ত্র অনুযায়ী, কোলাসুরকে বধ করার মধ্য দিয়ে শুরু হয় কুমারী পূজার।
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুযায়ী, মহাঅষ্টমীর পূজা অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে এবং বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে কুমারী পূজা। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনসহ কয়েকটি স্থানে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। সন্ধি পূজা শুরু হবে বিকাল ৪টা ৪৪ মিনিটে এবং সমাপন বিকাল ৫টা ৩২ মিনিটের মধ্যে।
মূলত দুর্গা পূজার মূল পর্ব শুরু হয় সপ্তমীতে। চলে দেবী দর্শন, দেবীর পায়ে ভক্তদের অঞ্জলি প্রদান ও প্রসাদ গ্রহণ। মহাসপ্তমীতে ষোড়শ উপচারে অর্থাৎ ১৬টি উপাদানে দেবীর পূজা চলে। সপ্তমীর সকালে পূজার শুরুতেই দেবী দুর্গার প্রতিবিম্ব আয়নায় ফেলে বিশেষ ধর্মীয় রীতিতে স্নান করানো হয়। এরপর করা হয় নবপত্রিকা স্থাপন। এছাড়া দেবীর চক্ষুদানের মাধ্যমে দেবী দুর্গার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়। দেবীকে আসন, বস্ত্র, নৈবেদ্য, পুষ্পমাল্য, চন্দন, ধূপ ও দ্বীপ দিয়ে পূজা করেন ভক্তরা।