নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

যমুনা, ব্রহ্মপুত্রসহ শাখা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় আরো অবনতি হয়েছে জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির।

আজ মঙ্গলবার বিকালে যমুনার পানি বেড়ে বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে প্রবাহিত হয়েছে বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। এতে জেলার ৬ উপজেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৫৫ হাজার মানুষ।

উজানের পানি আর টানা বর্ষণে যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, জিঞ্জিরামসহ শাখা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জামালপুরের বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনার পানি ১০ সেন্টিমিটার বেড়ে বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ইতোমধ্যে জামালপুরের ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, সরিষাবাড়ী ও বকশীগঞ্জ উপজেলার ৩৫টি ইউনিয়নের ৫৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

লোকালয়ে পানি প্রবেশ করায় চরম দুর্ভোগে পরেছে বন্যা কবলিতরা। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে বসতভিটা, হাট-বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ফসলি জমিসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক। বসতঘরে পানি প্রবশে করায় বন্যা দুর্গতরা বাড়িঘর ছেড়ে ঊঁচু সড়ক, বাঁধ, রেলওয়ে স্টেশনে আশ্রয় নিচ্ছে। বন্যা দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সংকট। সেই সাথে চারণভূমি পানির নিচে তলিয়ে থাকায় সংকট দেখা দিয়েছে গো খাদ্যেরও। এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা দুর্গত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ শুরু করা হয়েছে।

জামালপুর জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা মো: আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন, বন্যা দুর্গতদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি উপজেলার জন্য ৫০ মেট্রিক টন করে ৩৫০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১ লক্ষ করে মোট ৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও দুর্যোগ মোকাবিলায় ৮৬টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ৮০টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

Scroll to Top