গত বুধবার অষ্টম ধাপে একযোগে দেশের ১৭৬ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আলোচিত নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের পাঁচপীর দরগাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কেন্দ্রে পরাজিত মেম্বারপ্রার্থীর নেতৃত্বে কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং অফিসারকে মারধরের ঘটনা ঘটে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলিবর্ষণ ও লাঠিচার্জ করে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হলেও হামলার মূলহোতা পরাজিত প্রার্থী আবু তাহেরের ভাতিজা একাধিক মামলার আসামি সুমন, আরফান, আবু তাহেরের ছোট ভাই নুরু হাজি ও মোটা সুমনসহ অন্য আসামিরা অধরা রয়েছেন। এলাকায় প্রকাশ্যে আসামিরা ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ রহস্যজনক কারণে গ্রেফতার করছে না।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মোগরাপাড়া উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৭নং ওয়ার্ডের পাঁচপীর দরগাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মহিলা ভোটকেন্দ্রে পরাজিত ইউপি সদস্য আবু তাহের, আল মাহবুব ও রফিকুল ইসলাম দুলাল এবং তাদের সমর্থকরা ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং অফিসার ফখরুল ইসলামকে ভোট গণনায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেন।
হামলার খবর শুনে পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠিচার্জ করে ও ২৯ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হামলার পর পর পুলিশি অভিযানে তাৎক্ষণিকভাবে তালা প্রতীকের পরাজিত ইউপি সদস্য আল মাহবুব ও তার একজন সমর্থককে আটক করে।
কিন্তু হামলা, মাদক ও ছিনতাইসহ একাধিক মামলার আসামি আবু তাহেরের ভাই নুরু হাজির ছেলে সুমন, আরফান, মোটা সুমনসহ অন্য আসামিরা এখনো অধরা। নির্বাচন পরবর্তীতে প্রায় প্রতিদিন এলাকায় সাধারণ ভোটারদেরকে হুমকি দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে সুমন ও তাহের বাহিনী।
জয়ী ইউপি সদস্য মো. মানিক মিয়া বলেন, পরাজিত তিন প্রার্থীর মধ্যে আবু তাহের ও দুলালসহ এদের সমর্থকরা আমার সমর্থকদের বাড়িতে লুটপাট ও হামলা চালিয়েছে।
৭নং ওয়ার্ডের উলুকান্দায় ফেরদৌসের পরিবারসহ একাধিক পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে। এদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে এদের বিচার না করা হলে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করবে।
এদিকে আহত প্রিসাইডিং অফিসার ফখরুল ইসলামকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁও থানার উপপরিদর্শক ইমরান আহমেদ জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মামলার আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান অব্যাহত রেখেছে।