স্বচ্ছতার সঙ্গে কুমিল্লা সিটি করপোরেন নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী। তিনি বলেছেন, স্বচ্ছতার সঙ্গে সবকিছু হয়েছে। ফলাফল প্রকাশে কোনো রকম চাপ ছিল না।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা নির্বাচনী কার্যালয়ে এসব কথা বলেন তিনি। রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই।
গতকাল বুধবার কুমিল্লা সিটির ভোট হয়। অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ হয়। এ নিয়ে কোনো প্রার্থীরই তেমন অভিযোগ ছিল না।
ভোটের ফলাফল ঘোষণার শুরুর থেকে দিকেও পরিস্থিতি ছিল শান্তিপূর্ণ। তবে ফল ঘোষণার একেবারে শেষ দিকে এসে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক এবং স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মনিরুল হকের ভোটের ব্যবধান অনেক কম থাকায় এই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। দুই পক্ষের কর্মী-সমর্থকেরা মুখোমুখি হয়ে পড়েন। হইচই, হট্টগোল ও বিশৃঙ্খলার কারণে কিছু সময় ফলাফল ঘোষণা বন্ধ রাখতে বাধ্য হন রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন তিনি।
ঘোষিত ফলাফলে ৩৪৩ ভোটের ব্যবধানে মনিরুলকে হারিয়ে কুমিল্লা সিটির নতুন মেয়র নির্বাচিত হন নৌকা প্রতীকের আরফানুল হক রিফাত।
ফলাফল ঘোষণার পর তা মেনে নেননি মনিরুল হক সাক্কু। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ‘ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের’ অভিযোগ আনেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সাক্কু। এজন্য আইনি পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার জেলা নির্বাচনী কার্যালয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, স্বচ্ছতার সঙ্গে সিটি নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। আর তা স্বচ্ছতার সঙ্গেই হয়েছে। ফল প্রকাশের ক্ষেত্রে কোনো চাপ ছিল না ‘
সাক্কুর অভিযোগ প্রসঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ‘ফল ঘোষণা নিয়ে কোনো প্রার্থী অসন্তুষ্ট হলে, সন্দেহ থাকলে সে ক্ষেত্রে আদালত আছে। আইনি ব্যবস্থা নিতে পারেন।’