হাসি সৌন্দর্যকে দ্বিগুণ করে। কিন্তু সেই হাসিতে কেবল প্রাণ থাকলেই চলে না, দাঁতকেও থাকতে হয় দুধের মতো সাদা। তবেই সে ভুবনমোহিনী হাসির অধিকারী হতে পারেন আপনিও। দুধসাদা দাঁতের হাসি আর অপরিষ্কার বা হলুদ ছোপ ধরা দাঁতের হাসির মধ্যে ফারাক অনেক।
নানা অসুখবিসুখ থেকে বাঁচতে বা চেহারার দিকে নজর দিতে গিয়ে যে পরিমাণ যত্ন আমরা করি, তার সিকি ভাগও দাঁতের ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে করি না। দাঁতের যত্ন বলতে আমরা বুঝি স্রেফ দু’বেলা দাঁত মাজা, ভাল করে কুলকুচি করা। এর বাইরে আলাদা করে দাঁতের য়ত্নের কথা ভাবেন না অনেকেই। কিন্তু দাঁত ভাল রাখতে বছরে একবার স্কেলিং (স্কেলিংয়ে দাঁত নড়ে যায় এমন মিথে আস্থা রাখবেন না) বা ওয়াশের যেমন প্রয়োজন, তেমনই দাঁতের সাদা ভাব ধরে রাখাটাও খুবই জরুরি।
ঘরোয়া কিছু উপায় মেনে চললে দাঁত যেমন ভাল থাকে, তেমনই এর সাদা রং টিকিয়ে রাখা যায় সহজেই। হলুদ ছোপ তুলে দাঁতকে ভাল রাখার সে সব উপায় জানেন?
পেটের মেদ কিছুতেই কমছে না? ঘরোয়া এই চারটি উপায়ই তা হলে যথেষ্ট
বেকিং সোডা দাঁতের যত্নের অন্যতম উপাদান।
দাঁতের হলুদ ছোপ তুলতে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ও বেকিং সোডার মিশ্রণ খুব উপযোগী। দু’-টেবিল চামচ হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ও এক টেবিল চামচ বেকিং সোডা একসঙ্গে নিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। সপ্তাহে দু’দিন এই মিশ্রণ দাঁতে লাগালে উপকার মিলবে অনেকটাই।
নারকেল তেলের ফ্যাটি অ্যাসিড মুখের লালার সংস্পর্শে এলে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অক্সিজেনের অণু তৈরি হয়। এটি দাঁতের দাগ-ছোপ তুলতে সাহায্য করে। দু’ টেবিল চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে সামান্য বেকিং সোডা ও কয়েক ফোঁটা পিপারমেন্ট তেল মিশিয়ে তা ব্রাশে লাগান। এই মিশ্রণ দিয়ে এক বেলা ব্রাশ করুন। দাঁতের সাদা ভাব সহজেই ফিরে পাবেন।
পেয়ারা পাতা বেটে নিয়ে তার সঙ্গে বেকিং সোডা মিশিয়েও দাঁতে লাগাতে পারেন। কয়েক মিনিট রাখার পর ভাল করে ধুয়ে নিন এই মিশ্রণ। এটি মানতে পারলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দাঁতের দাগ উঠে দাঁত সাদা হতে শুরু করবে।