বিয়ের আগে মেয়েদের জীবন থাকে একরকম কিন্তু বিয়ের পর তা হয় অন্যরকম। বিয়ের পর একজন মেয়ে আরও বিকশিত হয়ে ওঠে।
তাদের ভালোবাসার ধরনও বদলাতে থাকে। সম্প্রতি এক সমীক্ষা বলছে, বিয়ের পর বাঙালি মেয়েদের ভালবাসার ভালোবাসার চাহিদা মনের থেকে শারীরিকভাবে বাড়তে থাকে।
‘পার্সোনালিটি অ্যান্ড ইন্ডিভিজুয়াল ডিফারেন্সেস’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হচ্ছে, ২৭ থেকে ৪৫ বছর বয়সি বাঙালি বিবাহিত মহিলারা তাদের শারীরিক চাহিদা শুধু যে অধিকতর সক্রিয় তাই নয়, তাদের চিন্তাগুলিও অল্পবয়সি অবিবাহিত মহিলাদের থেকে অনেক বেশি বেড়ে যায়।
ওই গবেষণাপত্রে দাবি করা হচ্ছে, এই প্রশ্নের উত্তর লুকনো রয়েছে মানবসভ্যতার ইতিহাসে। আদিম মানবসমাজে বিভিন্ন রোগব্যাধি, যুদ্ধ, অনাহার ও প্রাকৃতিক দু্র্যোগে অজস্র শিশুর মৃত্যু দেখতে দেখতে বড় হতে হত মেয়েদের। ফলে অল্পবয়স থেকেই যত বেশি সম্ভব শিশুর জন্ম দিয়ে এই শিশুমৃত্যুর ক্ষতিপূরণের একটা বাসনা তৈরি হত মেয়েদের মনে। এই মনোভাবের রেশ আধুনিক যুগের মারীদের মনেও রয়ে গেছে। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নারীদের সন্তানধারণের ক্ষমতা হ্রাস পায়। বাঙালি নারীদের ক্ষেত্রে এই নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটে না।
সন্তান জন্ম নেওয়ার পরে দম্পতিদের স্বাভাবিক জীবনে একটা ভাটা আসে। শারীরিক সম্পর্কের অভাব বাঙালি নারীদের মধ্যে ভালবাসারা চাহিদা বৃদ্ধি ঘটায় বলেই মনে করছেন মনস্তাত্ত্বিকরা। স্বাভাবিকভাবেই, বিয়ের পরে বেড়ে যায় বাঙালি নারীদের ভালবাসারা চাহিদা। আর এভাবেই একজন মহিলা বিয়ের আগে যেমন তার ভালোবাসা ছিল তার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে অন্যরকম হয়ে ওঠে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩২ ঘণ্টা, ৩০ আগস্ট, ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/পিকে