কোলেস্টেরল কমাতে করতে পারেন যে পাঁচ ব্যায়াম

কোলেস্টেরলের হাত ধরেই মানবদেহে হানা দেয় হৃদ্‌রোগ। এ কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখা বেশ কঠিন। শুধু খাওয়াদাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ আনতে পারলেই এই রোগের হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যায় না, মুঠো মুঠো ওষুধ খেয়ে শুধু চাপা রাখা যায় মাত্র। কোলেস্টেরল থেকে যত দূরে থাকা যায়, ততই ভাল।

এর হাত থেকে বাঁচতে হলে প্রাত্যহিক অভ্যাসেও আনতে হবে পরিবর্তন। নিয়ম মেনে শরীরচর্চা করতে পারলে সবচেয়ে ভাল। কী কী ব্যায়াম করলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব, জেনে নিন।
হাঁটাহাঁটি করা

জিমে আলসেমি লাগলে প্রতিদিন ২০ মিনিট হাঁটুন। গরমে বা বৃষ্টিতে বাইরে না গিয়ে বাড়ির ভিতরেই হাঁটুন। কর্মক্ষেত্রে গেলে সেখানেও হাঁটুন। কেনাকাটা করতে গেলে বসে না পড়ে হাঁটাহাঁটি করুন। ভোর বেলায় বাড়ির ছাদে হাঁটতে পারেন।
বাড়ির সামনের রাস্তায়ও হাঁটতে পারেন। এতেও আপনার উপকার হবে।
দৌঁড়ানোর অভ্যাস

চিকিৎসকদের মতে, প্রতিদিন নিয়ম মেনে হাঁটার মতো দৌঁড়ানোও একটি উপকারী ব্যায়াম। তাহলে পুরো শরীরের ব্যায়াম হয়ে যায়। শুরুতেই গতি বাড়িয়ে না দৌঁড়ে ধীরে ধীরে শুরু করুন।

তারপর আস্তে আস্তে গতি বাড়ান। দৌঁড়ানোর সময় শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার বিষয়টিও খুব জরুরি। পা ফেলার সঙ্গে তাল মিলিয়ে শ্বাস নিন এবং শ্বাস ছাড়ুন।
সাইকেল চালানো

সাইকেল চালানো খুব ভাল ব্যায়াম। সাইকেল চালালে শুধু শরীর নয়, মনও ভাল থাকে। এত পুরো শরীরের ব্যায়াম হয়। নিয়মিত সাইকেল চালালে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে হৃদ্‌রোগের আশঙ্কাও কমে যায়। রক্ত সঞ্চালনও ভাল হয়। যদি মানসিক সমস্যা থাকে, অতিরিক্ত উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ভুগেন তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সাইকেল চালানো শুরু করুন। অল্প দিনেই উপকার মিলবে।

যোগাসন

নিয়ম করে যোগাসন করলে শুধু কোলেস্টেরল নয়, অন্যান্য রোগ থেকেও রেহাই পাবেন। কোলেস্টেরল কমানোর ব্যায়াম হল সর্বাঙ্গাসন। চিত হয়ে শুয়ে দুই পা একসাথ করে উপরে তুলুন। এ বার দুই হাতের তালুতে কোমরের ভার দিয়ে পিঠ এমন ভাবে ঠেলে তুলুন, যেন ঘাড় থেকে পা পর্যন্ত সোজা থাকে। থুতনিটি বুকের সঙ্গে লেগে থাকবে। দৃষ্টি থাকবে পায়ের আঙুলের দিকে। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে হবে। ৩০ সেকেন্ড এ ভাবে থেকে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন। তিন বার অভ্যাস করুন এই ব্যায়াম।

সাঁতার কাটা

সাঁতারে শরীরের একাধিক পেশি একসঙ্গে কাজ করে। যে কোনও ব্যথা, যন্ত্রণায় আরাম দিতে পারে সাঁতার। রক্ত সঞ্চালনও ভাল হয়। খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়।

Scroll to Top