hair1

চুল ভালো রাখতে ডিমের সাদা অংশ নাকি কুসুম, কোনটা মাখবেন

চুলের যত্নে অনেকেই ডিম ব্যবহার করে থাকি। চুলের যত্নে পুষ্টির অনেকটাই জোগাতে পারে ডিম। কিন্তু চুলে ডিম দেওয়ার আগে কয়েকটি বিষয় জেনে নিন।

প্রথমত, চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী ডিমের সংখ্যা নির্বাচন করতে হবে।

মাঝারি চুলে দুটো ডিম লাগবে।
দ্বিতীয় কাজ হবে ডিমের সাদা অংশ ও কুসুম আলাদা করে নেওয়া। কারণ, তৈলাক্ত চুলের জন্য ডিমের সাদা অংশ ভাল। তবে চুল যদি রুক্ষ হয়, তা হলে কিন্তু বেশি কাজ দেবে ডিমের কুসুমই। তবে চুল যদি অতি রুক্ষ বা তৈলাক্ত কোনওটাই না হয়, সে ক্ষেত্রে পুরো ডিম ব্যবহার করতে হবে। অবশ্য চুলের প্রকৃতি না জেনে ঠিকমতো ডিম ব্যবহার করতে না পারলে কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ফল মিলবে না।

এরপর ডিমের দু’ধরনের অংশ পৃথক ভাবে ফেটিয়ে নিন। তৈলাক্ত চুল হলে শুধু সাদা অংশ আর রুক্ষ হলে কুসুম ব্যবহার করুন।

কীভাবে চুলে লাগাবেন ডিম?

১. ভেজা চুলে ডিম মাখতে হবে। তবে চুল কিন্তু ঠান্ডা জলে নয়, হালকা গরম জলে ভিজিয়ে নিতে হবে। এতে চুলের কিউটিকল খুলে যাওয়ায় ডিমের পুষ্টি শোষণে সহায়ক হবে।

২. মাথার তালু থেকে চুলের ডগা পর্যন্ত খুব ভাল করে ডিমের মিশ্রণ লাগিয়ে নিতে হবে।

৩. ডিমের মিশ্রণ লাগানোর পর হালকা হাতে তালুতে মাসাজ করতে হবে। এতে প্রতিটি চুলে ডিমের অংশ ভাল ভাবে মিশবে।

৪. মাসাজের পর চুল শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। এতে চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকবে। ২০ মিনিট থেকে আধ ঘণ্টা এ ভাবেই চুল রেখে দিন।

৫. ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল খুব ভাল করে ধুতে হবে। গরম পানি কোনও ভাবেই ব্যবহার করা যাবে না। তা হলে চুল রুক্ষ হয়ে যাবে। ডিমের অংশ চুলে যাতে না লেগে থাকে, সে জন্য মৃদু শ্যাম্পু ব্যবহার করা যেতে পারে।

Scroll to Top