মাদার তেরেসা বলেছেন, ‘সাধারণ একটা হাসি কী করতে পারে, তা আমরা জানিই না।’
হ্যাঁ, হাসির ক্ষমতা যে কতটা সুদূরপ্রসারী, তা যেন আমরা আসলেই জানি না। জানলে এবং মন খুলে হাসতে পারলে জীবনের অধিকাংশ সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। একটা মিষ্টি হাসি একলহমায় পৃথিবীর জটিলতম সমস্যাটিরও সমাধান করে দিতে পারে। যাঁরা হাসতে জানেন, তাঁরা জীবনের সব দুঃখ-বেদনাকে তুড়ি দিয়ে উড়িয়ে দিতে পারেন। জীবনকে তারিয়ে উপভোগ করার জন্য হাসি এক অমোঘ অস্ত্র।
কালজয়ী ধ্রুপদি অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিন যেমন বলেছেন, হাসি ছাড়া একটা দিন মানে সেই দিনটা নষ্ট।
হাসি আনন্দের প্রকাশ, বেদনারও। আইয়ুব বাচ্চু গানে গানে বলেছেন, ‘হাসতে দেখো, গাইতে দেখো…দেখো না কেউ হাসি শেষে নীরবতা’। এ পর্যায়ে কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের উক্তিটি স্মর্তব্য, ‘হাসি সব সময় সুখের কারণ বোঝায় না; মাঝে মাঝে এটাও বোঝায় যে আপনি কতটা বেদনা লুকাতে পারেন।’
হাসির স্বাস্থ্যগত উপকারিতা বৈজ্ঞানিকভাবেই প্রমাণিত। হাসার ফলে দেহে হ্যাপি হরমোন এন্ডোরফিন নির্গত হয়। হাসি মানসিক চাপ কমায়, বাড়ায় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। হাসিকে বলা হয় ‘প্রাকৃতিক ব্যথানাশক’। হাসি যে কেবল মুহূর্তকেই আনন্দময় করে তোলে, তা নয়। এর রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি ইতিবাচক প্রভাব। দীর্ঘ জীবনপ্রাপ্তিতে হাসির ভূমিকা রয়েছে।
আজ ১৫ জুন, হাসির শক্তি দিবস (স্মাইল পাওয়ার ডে)। আমেরিকায় এটি পালিত হয়। তবে দিনটি কবে, কীভাবে শুরু হয়েছিল, তা জানা যায় না। তাতে কি! দুঃখ-বেদনা, অপ্রাপ্তি-হতাশা—সব ভুলে অন্তত একটা দিন হেসে হেসে কাটিয়ে দিলে তো মন্দ হয় না। শেষে আরেকটি তথ্য জানিয়ে রাখি, ‘বিশ্ব হাসি দিবস’ প্রতিবছর অক্টোবর মাসের প্রথম শুক্রবার।