মায়েদের শাড়ির প্রতি বিশেষ ভালো লাগা রয়েছে প্রত্যেক বাঙালি নারীরই। কৈশোরের প্রথম দিকে মায়ের শাড়ি পরেননি এমন নারী কমই আছেন। বড় হওয়ার পরেও মায়ের শাড়ির প্রতি অন্যরকম মায়া কাজ করে। চাইলে মায়ের সেই ‘আউট অফ ট্রেন্ড’ শাড়িগুলিতে নতুনভাবে সেজে উঠতে পারেন।
আশি ও নব্বইয়ের দশকে সিল্কের শাড়ি পরার একটা চল ছিল। পরবর্তী সময়ে এই ট্রেন্ডের গুরুত্ব কমতে থাকে। মায়েদের এমন দুই-একটি শাড়ি থাকাটাই স্বাভবিক। হয়তো সেগুলো আলমারির এক কোণায় পড়ে রয়েছে। এবার সেই শাড়িগুলি বের করে নতুন স্টাইলে সাজতে পারেন। শাড়িতে যদি পুরনো ট্রেন্ডের ছাপ থাকে, তাহলে বৈচিত্র আনতে ব্লাউজের দিকে মনোযোগ দিন। আজকাল অনেক ট্রেন্ডি এবং ক্লাসি প্যাটার্নের ব্লাউজ পাওয়া যায়। পুরনো শাড়ির সঙ্গে এ ধরনের ব্লাউজ পরলে স্টাইলে ভিন্ন লুক আসবে।
ফ্যাশনে অ্যাকসেসরিজ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। যতই আধুনিক-স্টাইলিশ পোশাক স্টাইল করুন না কেন, তার সঙ্গে মানানসই অ্যাকসেসরি না পরলে সাজটাই অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। মায়ের শাড়ি পরলেও তার সঙ্গে ভিন্নধর্মী অ্যাকসেসরিজ পরুন। সাজে পুরনো দিনের ছোঁয়া রাখতে চাইলে তেমন কিছু গয়না পরতে পারেন। আধুনিক লুক আনতে চাইলে সমসাময়িক গহনা পরুন।
যদি মায়ের শাড়িটা বেশি পুরনো হয়ে যায়, পরার মতো অবস্থায় না থাকে তাহলে সেই শাড়ি দিয়ে নতুন পোশাক বানিয়ে নিতে পারেন। যেমন- শাড়ি থেকে স্কার্ট, শর্ট কুর্তা এবং টপ বানাতে পারেন। তাছাড়া শাড়ি থেকে খুব ভালো ওড়নাও বানানো যায়।