হজমে গণ্ডগোল থেকে ডায়রিয়া- এই অবস্থায় শুধু যে অস্বস্তিতে ভুগতে হয় তা নয়, শরীর থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টিও বের হয়ে যায়।
ফলে শরীর হয় দুর্বল।
মারাত্মক রকমের ডায়রিয়া হলে হাসপাতালে যেতেই হয়। তবে সাধারণ ডায়রিয়া হলে নানান ধরনের স্বাস্থ্যকর পানীয় উপকারী ভূমিকা রাখে।
এই বিষয়ে হেল্থশটস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতীয় আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ ডা. ডিম্পল জাংদা বলেন, “ডায়রিয়া হলে রোগীর দেহ থেকে প্রচুর পানি এবং ইলেকট্রোলাইট বের হয়ে যায়। দুর্বলতা ও পানিশূন্যতা কমাতে এই ঘাটতি পূরণ করা প্রয়োজন।”
লেমোনেইড বা লেবুপানি
গরমকালে লেমোনেইড বা লেবু শরবত ডায়রিয়া ও পেট খারাপ সমস্যায় খুব ভালো কাজ করে।
ডা. জাংদা বলেন, “এটা ভিটামিন সি’তে ভরপুর এবং এই পানীয় অন্ত্রের পিএইচ’য়ের ভারসাম্য রক্ষা করে।”
এছাড়াও লেবুতে থাকা সিট্রিক আসিড, ডায়রিয়ার অন্যতম কারণ ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া মেরে ফেলতে সাহায্য করে।
তৈরি পদ্ধতি: একটা গ্লাসে সম্পূর্ণ একটা লেবুর রস চিপে নিতে হবে। এরপর মিষ্টি হিসেবে চাইলে এক চামচ মধু যোগ করা যেতে পারে। এরপর ছেঁকে পান করতে হবে।
ডাবের পানি
হজমের জটিলতা সমাধানে ডাবের পানি উপকারী। এটা প্রাকৃতিক ইলেকট্রোলাইটের উৎস। এতে থাকা পটাসিয়াম ও সোডিয়াম ডায়রিয়ার কারণে হওয়া পানিশূন্যতা দূর করে এবং দেহে পানির ঘাটতি পূরণ করে।
আরও আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা হজম স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
তৈরি পদ্ধতি: একটা ডাব কেটে পানি ছেঁকে নিতে হবে। ইলেকট্রোলাইট হিসেবে লবণ যোগ করা যেতে পারে বা বরফ কুচি দিয়ে শীতল পানীয় হিসেবে গ্রহণ করা যায়।
কলার স্মুদি
কলা সহজেই হজম হয় এবং এটা পটাসিয়ামের ভালো উৎস। ডায়রিয়া হলে ভিটামিন ও আঁশ দেহ থেকে বের হয়ে যায়। কলা সেসব পূরণ করতে পারে।
ডা. জাংদা ব্যাখ্যা করেন, “কলা এই প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুলো পূরণ করতে পারে এবং পাচনতন্ত্রের ওপর চাপ কমাতে সহায়তা করে।”
এছাড়া কলায় পেক্টিং থাকে, যা দ্রবণীয় আঁশ। এটা অন্ত্রের অতিরিক্ত পানি শোষণ করতে এবং মল বৃদ্ধি ও সুপ্রবাহিত করতে সহায়তা করে।
তৈরি পদ্ধতি: এক কাপ দুধ বা দইয়ের সাথে একটা কলা ব্লেন্ড করে নিতে হবে। মিষ্টি বাড়াতে এতে সামান্য মধু যোগ করা যেতে পারে। স্বাদ বাড়াতে দারুচিনি যোগ করা যেতে পারে।