কাঁচা আম গ্রীষ্মকালীন ফলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফল। কাঁচা আমের ভর্তা, কাঁচা আমের আচার, আমপান্না, কাঁচা আমের শরবত, আমসত্ত্ব কিংবা কাসুন্দি দিয়ে কাঁচা আম মাখা খায়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। অনেক গরমে হিমশীতল এক গ্লাস কাঁচা আমের জুস বা শরবত এনে দেবে প্রশান্তি। কাঁচা আমের স্বাস্থ্য উপকারিতা কিন্তু অনেক।
■ গ্যাস্ট্রো ইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টকে বিভিন্ন পাচক রস বা খাদ্য হজমকারী এনজাইম নিঃসরণ করতে উদ্দীপ্ত করে কাঁচা আম।
■ কাঁচা আম বা কাঁচা আমের রস অ্যাসিডিটি, বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য ও মর্নিং সিকনেসসহ হজমের সমস্যা কমায়, মুখে রুচি বাড়ায়।
■ এতে বিদ্যমান ইলেকট্রোলাইটগুলো শরীরে ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য করে, বিশেষ করে ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়াম। কাঁচা আমের শরবত শরীরকে ডিহাইড্রেশন থেকে রক্ষা করে ও হিট স্ট্রোকের প্রবণতা থেকে বাঁচায়।
■ কাঁচা আমের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ‘ম্যাঙ্গিফেরিন’ রক্তের ট্রাইগ্লিসারাইড, কোলেস্টেরল ও ফ্যাটি এসিডের মাত্রার ভারসাম্য বজায় রেখে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এতে বিদ্যমান ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়াম হার্টের সুস্থতা বাড়ায়।
■ কাঁচা আমে থাকা লুটেইন ও জিয়াজেনথিন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় ও চোখের সুস্থতা বজায় রাখে।
■ কাঁচা আমের পলিফেনল নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের নানা ইনফেকশন রোধ করে ও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
■ ফলটিতে বিদ্যমান অগণিত প্রয়োজনীয় ভিটামিন, যেমন—ভিটামিন সি, কে, এ, বি৬ ও ফলেট শরীরে নানা ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
■ নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করে, মাড়ি থেকে রক্ত পড়া রোধ করে শক্ত ও পরিষ্কার দাঁত গঠনেও কাঁচা আমের ভূমিকাও বেশ।
■ কাঁচা আমের ভিটামিন সি, এ কোলাজেন সংশ্লেষণকে উৎসাহিত করে ত্বক ও চুলের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে। প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় ও সিজনাল সর্দি, কাশি থেকে রক্ষা করে।
■ অতিরিক্ত ওজন কমাতেও কাঁচা আম একটি আদর্শ ফল।
এটি ব্লাড সুগারও বাড়ায় না, ফলে ডায়াবেটিক রোগীর জন্যও উপযোগী।
■ কাঁচা আম রক্তস্বল্পতা দূর করে, রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে, হেমোফিলিয়ার মতো রক্তের অসুখ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কাঁচা আম রক্তনালির স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায় এবং নতুন রক্তকণিকা তৈরি করে।