প্রোটিন, ফাইবার এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টির দুর্দান্ত উৎস ডাল। তবে অনেকেরই ডাল খাওয়ার পর গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয়। এর জন্য দায়ী ডালের জটিল কার্বোহাইড্রেট সংমিশ্রণ এবং কিছু যৌগের উপস্থিতি। ডালে অলিগোস্যাকারাইডসহ জটিল কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা অনেক সময় পরিপাকতন্ত্র সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলতে পারে না।
যদিও ফাইবার হজমের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তবে ডাল খাওয়ার পর অনেকেরই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয়। ডালে ফাইটেট এবং লেকটিনের মতো অ্যান্টিনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে যা উদ্ভিদকে রক্ষা করার জন্য থাকে। কিন্তু কখনও কখনও এরা মানুষের হজমের অস্বস্তি সৃষ্টি করে।
ভিজিয়ে রাখা এবং সঠিকভাবে রান্না করা এই অ্যান্টি-নিউট্রিয়েন্টের প্রভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে। কিছু টিপস জেনে নিন।
১/রান্নার আগে ডাল ভিজিয়ে রাখলে কিছু জটিল কার্বোহাইড্রেট এবং অ্যান্টিনিউট্রিয়েন্ট ভেঙে যেতে পারে যা তাদের আরও হজমযোগ্য করে তোলে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমিয়ে দেয়।
২/ডাল খেলে অস্বস্তি হলে একবারে বেশি পরিমাণে খাবেন না। ধীরে ধীরে পরিমাণ বাড়ান। এটি পাচনতন্ত্রকে উচ্চতর ফাইবার সামগ্রীর সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সাহায্য করে, অ্যাসিডিটির ঝুঁকি কমায়।
৩/ ডাল রান্নার সময় এমন মসলা দিন যেগুলো হজমে সহায়ক। জিরা, ধনিয়া এবং হিং এর মতো পাচক মসলাগুলি অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এসব মসলা হজমের অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে।
৪/সারাদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাবেন। পরিপাক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করা সহজ হবে।
৫/ খাওয়ার পর মৃদু শারীরিক কার্যকলাপ যেমন অল্প হাঁটা হজমে সাহায্য করতে পারে। তবে ভারী ব্যায়াম করবেন না।