শীতের সময় অনেকেরই রোগের প্রকোপ বাড়ে। সাধারণ জ্বর, সর্দি, কাশির বাইরেও বেশিরভাগ মানুষ এই ঋতুতে ভোগেন মাইগ্রেনের সমস্যায়। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে সেরোটোনিনের মতো নিউরোকেমিক্যালের তারতম্য ঘটে। এই হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে শীতে মাইগ্রেনের সমস্যা বেড়ে যায়। এছাড়াও, ঠান্ডা আবহাওয়ায় নার্ভ এবং ব্লাড ভেসেলগুলোতেও নানা সমস্যা তৈরি হয়। এটাও মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।
শরীরে পানির পরিমাণ কমে গেলেও দেখা দিতে পারে মাইগ্রেনের সমস্যা। তবে কারণ যা-ই হোক, শীতে মাইগ্রেনের ব্যথা এড়াতে এবং সুস্থ থাকতে মেনে চলতে পারেন কিছু বিষয়-
শরীর গরম রাখুন
অতিরিক্ত তাপমাত্রা কমে গেলে শরীরকে গরম রাখা জরুরি। কারণ ঠান্ডা আবহাওয়া মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই শীতবস্ত্র ব্যবহার করুন। এছাড়াও গরম স্যুপ, গরম পানীয় পান করতে পারেন। এতে শরীরের তাপমাত্রা ঠিক থাকবে এবং মাইগ্রেনের সমস্যা এড়াতে পারবেন।
পরিমাণমত পানি খাওয়া
শীতে মানুষের মধ্য পানি খাওয়ার প্রবণতা কম দেখা দেয়।। শরীরের আর্দ্রতা কমে গেলে মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, শরীর হাইড্রেটেড থাকলে মাইগ্রেনের ঝুঁকি কমে যায়। তাই শীতে প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। দিনে তিন থেকে চার লিটার জল পান করুন। সেই সঙ্গে ঘন ঘন কফি, চা, মদ্যপানের অভ্যাস দূর করুন। ধূমপানও কমিয়ে ফেলার চেষ্টা করুন।
ঘুম জরুরি
আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়। ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে মাইগ্রেনের সমস্যা বেড়ে যায়। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়তে পারে। তাই ঘুম যেন ভালো হয় সেদিকে খেয়াল নিন। ঘুম ভালো হলে সুস্থ থাকা যাবে।
সময়মত খাওয়া
সঠিক সময় খাবার খাওয়া জরুরি। পেট খালি থাকলে ব্যথা-যন্ত্রণা বেড়ে যেতে পারে। মাইগ্রেনের ক্ষেত্রে সময়মত খাবার খাওয়া ভালো।