একটি শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা মানুষের শরীরে ঢাল হিসেবে কাজ করে। শক্তিশালী ইমিউন সিস্টেম ছাড়া শরীর ক্ষতিকারক জীবাণুর মোকাবিলা করতে পারে না। শিশুদের ক্ষেত্রে শক্তিশালী ইমিউন সিস্টেম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আয়ুর্বেদ মতে, যেসব শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এখনও বিকশিত হচ্ছে, বিভিন্ন ধরনের ভেষজের সাহায্যে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব। ভারতীয় গণমাধ্যম ‘টাইমস অব ইন্ডিয়ার’এক প্রতিবেদনে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কার্যকর কিছু ভেষজের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন-
যষ্টিমধু : যষ্টিমধু শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী হিসেবে কাজ করে। এতে থাকা অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্য শরীরে রোগ সৃষ্টিকারী প্যাথোজেনগুলির বিস্তার রোধ করতে সহায়তা করে। শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খাবারে সামান্য পরিমাণে যষ্টিমধু যোগ করতে পারেন।
তুলসি: তুলসি ভেষজে গুণে সমৃদ্ধ একটি উদ্ভিদ। এর পাতা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে কার্যকর। শিশুদের তুলসি পাতার রস করে খাওয়াতে পারেন। তুলসি পাতা পানিতে ভিজিয়েও শিশুদের সেই পানি খাওয়াতে পারেন।
জয়ফল: জয়ফলে শক্তিশালী অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণ এবং ইমিউন-বুস্টিং ক্ষমতা রয়েছে। শিশুদের ভালো ঘুমের জন্য এবং সর্দি -কাশির চিকিৎসার জন্য এই ভেষজ সহায়তা করতে পারে। ছোট শিশুদের দুধে এক চিমটি জয়ফল গুঁড়া যোগ করে খেতে দিতে পারেন।
অশ্বগন্ধা : অশ্বগন্ধা এমন একটি ভেষজ যাতে এমন যৌগ রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়৷ এটি শিশুর ইমিউন সিস্টেম বাড়ায় এবং অসুস্থতার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। দুধের সঙ্গে সামান্য পরিমাণে অশ্বগন্ধা গুঁড়া মিশিয়ে শিশুকে খাওয়াতে পারেন।
শিশুর প্রতিদিনের রুটিনে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী ভেষজ যোগ করে ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করতে পারেন। তবে তার আগে একজন আয়ুর্বেদ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া ভালো।