ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। সেদ্ধ অথবা পোচ যেকোনোভাবেই ডিম খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী। ডিমে প্রোটিন ছাড়াও ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম এবং ওমেগা-৩ রয়েছে।
শীতকাল চলে এসেছে। বছরের সবচেয়ে সংবেদনশীল এ সময়টিতে সবকিছুর দিকেই একটু বাড়তি খেয়াল রাখতে হয়। বিশেষ করে স্বাস্থ্য ও খাওয়া-দাওয়ার প্রতি। দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত খাবার হলো- সকালে যা খাওয়া হয় সেটি। কারণ এ সময়টিতে গ্রহণ করা খাবারই সারা দিন একজন মানুষের চলার প্রাথমিক শক্তি জোগায়। অনেকেই না বুঝে বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকেন। তবে শীতকালে সকালের নাশতায় কোন কোন খাবার আপনার স্বাস্থ্য রক্ষায় ভূমিকা রাখবে, সে বিষয়ে ইট দিস, নট দ্যাট সাময়িকীর এক প্রতিবেদনে কিছু তথ্য উঠে এসেছে। চলুন জেনে নেয়া যাক-
শাকসবজি
শীতকাল হলো নানা রকম শাকসবজির জন্য সবচেয়ে আদর্শ সময়। এই ঋতুতে যেসব শাকসবজি পাওয়া যায় এর প্রায় সবই স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কোনো বিশেষ স্বাস্থ্যগত সমস্যা না থাকলে চেষ্টা করুন প্রতিদিনের সকালের নাশতায় শাকসবজি রাখতে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে উত্তম হলো- মিক্সড ভেজিটেবল। কারণ এতে প্রায় সব ধরনের ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইবার থাকে যা বিভিন্ন রোগের সঙ্গে লড়াই করে।
কম মসলাদার খাবার
শুধু শীতকাল নয়, অন্য সময়েও অতিরিক্ত মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ অতিরিক্ত মসলা নানা রকম পেটের সমস্যাসহ অন্যান্য শারীরিক অসুস্থতার কারণ। বেশির ভাগ সময় মানুষ ফুড পয়জনিংয়ে আক্রান্ত হয় অতিরিক্ত মসলাদার খাবার খেয়ে। শীতকালটা যেহেতু একটু বেশিই সংবেদনশীল, তাই এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।
ঠাণ্ডাজাতীয় খাবার
শীতকাল এলেই অনেকে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যায় ভুগতে শুরু করেন। এর একটি কারণ হতে পারে নিয়মিত ঠাণ্ডা খাবার খাওয়া। শীতকালীন সকালের আবহাওয়া যেহেতু বেশি শীতল হয়, তাই এ সময়ের খাবারে ঠাণ্ডা এড়িয়ে চলা জরুরি। যেকোনো খাবার গরম করে বা টাটকা রেঁধে খাওয়াই ভালো।
ঔষধি উপাদান
শীতের সময় সকালের খাবারে বিভিন্ন ঔষধি উপাদান রাখা জরুরি। কেননা এই ঋতুতে অনেকের শরীরের রোগ-প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায়। যা ঔষধি উপাদান ঠিক রাখতে সহায়তা করে। এ ধরনের উপাদানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- মধু, তুলসীপাতা, গোলমরিচ, রসুন ইত্যাদি।
চা
শীতের সকালে শরীর উষ্ণ রাখতে চা অত্যন্ত কার্যকরী একটি পানীয়। তবে সাধারণ চায়ের পরিবর্তে- গ্রিন টি, তুলসী অথবা আদা চায়ের উপকারিতা বেশি। এতে ক্লান্তি দূর হওয়ার পাশাপাশি শরীরও সতেজ থাকে।
লাল আটার রুটি
লাল আটা অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর একটি উপাদান। এই আটায় বানানো রুটিতে রয়েছে ভিটামিন বি এবং ফাইবার। ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং ভিটামিন বি শরীর উষ্ণ রাখে।
ডিম
ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। সেদ্ধ অথবা পোচ যেকোনোভাবেই ডিম খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী। ডিমে প্রোটিন ছাড়াও ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম এবং ওমেগা-৩ রয়েছে।
স্যুপ
স্যুপ নানা রকম পুষ্টিকর উপাদানে তৈরি করা হয়। যা শরীরের শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি ঠাণ্ডা দূর করতেও কাজ করে।