শীতকাল! শুষ্ক এই মৌসুমে অনেকেরই হাত-পায়ের ত্বক ও ঠোঁট ফেটে যায়। এ সময় ত্বকের যত্নে বা রূপচর্চায় গ্লিসারিনের ব্যবহার হয়। এটির ব্যবহার নতুন নয়। ময়েশ্চারাইজার হিসেবে গ্লিসারিন সহজলভ্য হলেও, দীর্ঘদিন একটানা ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ, দীর্ঘদিন ব্যবহারে ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়তে পারে।
চর্মরোগ বিশেজ্ঞরা বলছেন, গ্লিসারিন ব্যবহারের মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। একদিকে গ্লিসারিন পরিবেশ থেকে পানি শোষণ করে, যার ফলে ত্বক আর্দ্র ও কোমল হয়। আবার যখন তা ধুয়ে ফেলা হয়, তখন এর সঙ্গে ত্বকের স্বাভাবিক ও অত্যন্ত প্রয়োজনীয় তেলজাতীয় উপাদান ধুয়ে যায়। গ্লিসারিন ত্বকের প্রয়োজনীয় তেলজাতীয় উপাদান শোষণ করায়, ত্বক শুষ্ক হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
যখন প্রয়োজন যাদের ত্বক শুষ্ক, তারা সমপরিমাণ গ্লিসারিন, গোলাপজল ও জলপাই তেল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। অতিরিক্ত শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে এই মিশ্রণে গোলাপজলের পরিমাণটা অর্ধেক করে নিতে হবে।
ঠোঁট, হাত, পা এবং শরীরের অন্য যে অংশের ত্বক ফেটে যায়, রাতে ঘুমানোর আগে সেসব স্থানে গ্লিসারিন, জলপাই তেল ও গোলাপজলের মিশ্রণ লাগিয়ে রাখতে পারেন। এসব স্থানে চাইলে সরাসরি গ্লিসারিনও মাখা যাবে। তবে মিশ্রণ ব্যবহার করাই ভালো। প্রয়োজনে নখের গোড়া বা কিউটিকলেও গ্লিসারিনের মিশ্রণ লাগাতে পারেন গোসলের পর।
গ্লিসারিনের সঙ্গে মেশানোর জন্য গোলাপজলের পরিবর্তে পানিও ব্যবহার করা যায়। মুখের ত্বকে গ্লিসারিন সরাসরি না লাগানো ভালো।
ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করে, ঠোঁটে গোলাপি আভা আনতে গ্লিসারিন ও গোলাপের পাপড়ির সঙ্গে ২ থেকে ৩ ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে ঠোঁটে লাগাতে পারেন। অথবা বীটমূলের রস ও গ্লিসারিনের মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন। উপকার পাবেন।
অতিরিক্ত শুষ্ক মৌসুমে গ্লিসারিন ব্যবহার করা যেতে পারে। আর যাদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক, তারাও এটি স্বল্প সময়ের জন্য ব্যবহার করতে পারেন।